বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: জঙ্গলের পাশ থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছিল মোরাম। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালালো মেদিনীপুর রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাটি রবিবার দুপুর একটা নাগাদ মেদিনীপুর সদরের নন্দগাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দগাড়ি এলাকায় একটি জায়গা থেকে গর্ত খুঁড়ে মোরাম তোলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় গোপগড় বিট অফিসার সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। মোরাম তোলার অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। এরপরই মোরাম তোলার কাজ বন্ধ রেখে আইনি ব্যবস্থার পথে হাঁটতে শুরু করে বনদপ্তর। বিট অফিসার মলয় নন্দী বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম এক জায়গা থেকে মোরাম তোলা হচ্ছে। কাজ বন্ধ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে জমি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে। যদি বনদপ্তরের জায়গা হয় আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : বনদপ্তরের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন বনকর্মীরা
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছুটির দিনে মাটি বা মোরাম তোলা বন্ধ রয়েছে। তারপরও রবিবার কিভাবে মোরাম উঠছে? তাদের আরও অভিযোগ, ওই এলাকার জঙ্গলে হাতিরা বিভিন্ন সময় অবস্থান করে। মোরাম তুলে গর্ত খুঁড়ে দিলে হাতিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের। মলয় নন্দী বলেন, “ওই এলাকায় বিভিন্ন সময় হাতিরা অবস্থান করে।

আরও পড়ুন : দীঘায় প্রথমবার গড়াবে রথের চাকা,প্রস্তুতি তুঙ্গে
সবাইকে এর আগেও জানানো হয়েছিল হাতি চলাচলের কোনো অসুবিধা করে কোনো কাজ করা যাবে না। সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ওই জায়গার জমির উন্নতিকল্পে কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আপত্তিহীনজনিত শংসাপত্র দিয়েছিল। জমির উন্নতিকরণের পরিবর্তে সেখানে মোরাম তুলে গর্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মেদিনীপুর সদরে
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুখেন্দু বিকাশ জানা বলেন, “জমির সমতলকরণ বা উন্নতির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গর্ত খুঁড়ে মোরাম তুলে অন্য কোথাও বিক্রির জন্য নয়। অবৈধ কোনো কাজ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিষয়টি খতিয়ে দেখছে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশও।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Illegal mining
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape