পত্রিকা প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আরো একটি ‘সেফ হোম’ বা ‘নিরাপদ নিলয়’ এর উদ্ধোধন হল। ঘাটাল মহকুমার প্রথম করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র ‘ঘাটাল সেফ হোম’ পথ চলা শুরু করল আজ থেকে। ৮০ শয্যা বিশিষ্ট এই সেফ হোম বা নিরাপদ নিলয়ে, আগামীকাল থেকেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। আজ দুপুর ২ টো নাগাদ জেলার ষষ্ঠ (৬ নম্বর) করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র তথা চতুর্থ নিরাপদ নিলয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন, জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রতিমা দাস, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, বিধায়ক শঙ্কর দোলই এবং জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র সহ ঘাটাল মহকুমাশাসক অসীম পাল, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী, ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা নবনির্মিত সেফ হোমের ভারপ্রাপ্ত সুপার মনোজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ। ghatal bengali news
আরো পড়ূণ- মেদিনীপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিশিষ্ট আইনজীবির
জেলার সংক্রমণ মানচিত্রে শীর্ষস্থানে থাকা ঘাটাল মহকুমা’বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এখানে একটি করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়ে। অবশেষে, বহু প্রতীক্ষিত সেই করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র তথা নিরাপদ নিলয় নির্মিত হল ঘাটালে। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের দু’টি ভবনে মোট ৮০ টি শয্যা বিশিষ্ট এই সেফ হোম গড়ে তোলা হয়েছে। পুরানো ভবনে ৩০ টি এবং পুরানো ফিমেল ওয়ার্ডে ৫০ টি শয্যা রাখা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, “এখানে প্রধানত উপসর্গহীন এবং স্বল্প উপসর্গযুক্তদের রাখা হবে। এখানে আইসিসিইউ নেই, তাই আশঙ্কাজনকদের লেভেল ফোর শালবনীতেই পাঠাতে হবে।” ঘাটালের ভূমিপুত্র তথা জেলার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানিয়েছেন, “ঘাটালবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। যদিও, জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।” জেলায় এই মুহূর্তে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন, তবে সংক্রমণ যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ে সংশয় নেই কারুরই। সর্বোপরি, সংক্রমিত হচ্ছেন একের পর এক করোনা যোদ্ধা। এই বিষয়ে জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “জেলায় উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত প্রায় ৯৫ শতাংশ। তাঁদের হোম আইশোলেশন বা গৃহ নিভৃতবাসে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে, যাঁদের বাড়িতে বা কর্মস্থলে উপযুক্ত পরিবেশ নেই তাঁদের জন্যই এই সেফ হোম বা নিরাপদ নিলয়। এখনে ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে এবং ৮০ টি শয্যার মধ্যে ৩০ টি শয্যা পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী সহ করোনা যোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।”
জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল জানিয়েছিলেন, “বিভিন্ন ব্লকে এই সেফ হোম গড়ে তোলা হবে। জেলায় এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এবং একসাথে ১০০০ জনকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi