ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জ্ঞান হারিয়ে এক মহিলা ভর্তি হন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ভর্তির দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও দেখা মেলেনি সিনিয়র চিকিৎসকের। যাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। রোগীর পরিজনদের সাথে বচসা বেঁধে যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের। তড়িঘড়ি ছুটে আসতে বাধ্য হন সিনিয়র চিকিৎসক।
ঘটনাটি বুধবার রাত্রি ন’টা নাগাদ বিজেপির কর্মী বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে সিপাইবাজার এলাকায় রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান স্বপ্না ভট্টাচার্য নামে মেদিনীপুর শহরের 18 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বিজেপি নেত্রী বলেই পরিচিত। এরপরই তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় অন্যান্য মহিলাকর্মীরা। এমার্জেন্সি থেকে তাকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা চিকিৎসা করলেও তাতেও কোন উন্নতি হয়নি রোগীর।
ফলে সিনিয়র চিকিৎসকের দাবি জানান রোগীর পরিজনরা। কিন্তু সিনিয়র চিকিৎসকের দেখা মেলেনি হাসপাতালে। রোগীর পরিজনেরা জানান ডাঃ দেবব্রত পালোই এর অধীনে ভর্তি হয়েছেন রোগী। কিন্তু তিনি সেই মুহূর্তে হাসপাতালে ছিলেন না। রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে খোঁজ করা হয় ওই চিকিৎসক কোথায় রয়েছেন। পরে জানা গিয়েছে রবীন্দ্রনগরে একটি চেম্বারে তিনি রোগী দেখছেন। সেখানে গিয়েও চিকিৎসককে প্রশ্ন করেন, হাসপাতালে ডিউটির সময় প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করছেন কেন?
Midnapore Hospital
আরও পড়ুন : ৩২০০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার! ফের সাফল্য ঝাড়গ্রাম পুলিশের
এদিকে হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বচসা বাধে মহিলা বিজেপি কর্মীদের। পরিস্থিতি উত্তেজনা দেখে তড়িঘড়ি ডাঃ দেবব্রত পালোই হাসপাতালে পৌঁছান। গাড়ি থেকে নামতেই ফের তাকে ঘিরে প্রশ্ন কোথায় ছিলেন এতক্ষণ? রোগীর কোন কিছু হলে তার দায়িত্ব আপনি নেবেন তো? পরে রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউ-তে। বিজেপি নেত্রী পারিজাত সেনগুপ্ত বলেন, “হাসপাতালের পরিকাঠামো একদম ভেঙে পড়েছে। সিনিয়র চিকিৎসক নেই।
আরও পড়ুন : বায়ুসেনার এলাকায় ৬ ফুটের বিশালাকার অজগর উদ্ধার
রোগী ভর্তি করার পর এক ঘণ্টা কেটে গেলেও যে চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি হয়েছে তার দেখা মেলেনি। জুনিয়ররা তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হাসপাতালে ডিউটি বাদ দিয়ে সিনিয়র চিকিৎসক দেবব্রত পালোই তিনি চেম্বার করছেন প্রাইভেটে।” পরে ওই চিকিৎসক নাকি তাদের কাছে ক্ষমা চান বলেও দাবি বিজেপি নেত্রীর।
আরও পড়ুন : চন্দ্রকোনায় ৮ মাস ধরে বন্ধ সরকারি পাঠাগার! দ্রুত চালুর দাবি এলাকাবাসীর
এদিনের ঘটনায় অনেকেই বলছেন, বিজেপি নেত্রী হওয়ায় লোকজন থাকায় সিনিয়র চিকিৎসকের দেখা মিলল। যদি গ্রাম থেকে আসা, কোন লোকজন না থাকা রোগী ভর্তি হন তাহলে তো বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন! দেখায় মিলবে না সিনিয়র চিকিৎসকের। হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসক অনুপস্থিত তা দেখার দায়িত্ব কার?
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali