ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: দিনমজুর পরিবারে আটটি সন্তান। লালনপালন করতে হিমশিম অবস্থা। আর সেই সময় অষ্টম সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন বাবা-মা। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার ফুলপাহাড়ি এলাকার এক দিনমজুর দম্পতির আটটি সন্তান হয়। এমনিতেই সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তার উপর আটটি সন্তান। তাদের কিভাবে মানুষ করবেন?
অষ্টমবারের সদ্যোজাত সন্তানকে তুলে দিলেন অন্যের হাতে বাবা-মা। অনেকের অভিযোগ, বিক্রি করা হয়েছে। যদিও বিক্রির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শিশুর মা। তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনা এবং ভালো ভাবে খাওয়াতে পারব না ভেবেই আমার এক আত্মীয় সম্পর্কের দাদাকে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। খবর যায় জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তরে। রবিবার দুপুরে শালবনীর গোদামৌলি এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ওই শিশু সন্তানটিকে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির পরিচিত দাদার শ্যালিকার কোন সন্তান ছিল না। ফলে অষ্টম সন্তান হওয়ায় তারা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। সন্তানদের ঠিকমতো মানুষ করতে পারবে না ভেবে তাদের দিয়ে দেয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “এইভাবে কোন বাচ্চাকে দিয়ে দেওয়া যায় না। তার জন্য সরকারি নানা নিয়ম রয়েছে।” শিশু সুরক্ষা দপ্তর এবং পুলিশ ওই শিশু সন্তানটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে হোমে পাঠিয়েছে।