বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : চলন্ত ট্রেনে বন্ধুত্ব আর তারপরেই লাড্ডু জাতীয় কিছু খাইয়ে বেহুশ করে দুই সোনার কারিগরের থেকে নগদ টাকা এবং সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুরি নিউ দিল্লি নন্দনকানন এক্সপ্রেসে ঘটেছে এই ঘটনা। শম্ভুনাথ হাজরা এবং সৌমেন মন্ডলকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি। শম্ভুনাথের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সোনাখালী এলাকায়। সৌমেনের বাড়ি পিংলা থানা এলাকায়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : শৌচকর্মে বেরিয়ে শালবনীতে হাতির হানায় মৃত্যু বৃদ্ধের
শম্ভুনাথ বলেন, আনন্দবিহার থেকে ট্রেনে চেপেছিলেন। ট্রেনে পরিচয় হয় দুজনের সাথে। তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশনে নেমে আবার হাওড়া লোকাল ধরে বালিচক স্টেশনে নামবেন বলে জানান। শম্ভুনাথ এবং সৌমেনেরও খড়্গপুর স্টেশনে নামার কথা ছিল। সেখান থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় যাওয়ার কথা ছিল। শম্ভুনাথ জানিয়েছেন, সেই সূত্রে ওই দু’জনের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা শুরু হয়। মির্জাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পরে তাদের লাড্ডু জাতীয় কিছু খাওয়ার খেতে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : স্কুটি থেকে পড়ে ট্রাক্টরের চাকার তলায় ! মেদিনীপুরে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন মহিলা
শম্ভুনাথ জানান ওরাও লাড্ডু খাচ্ছিল বলে সন্দেহ হয়নি। লাড্ডু খাওয়ার কিছু সময় পরেই অচেতন হয়ে পড়ে শম্ভুনাথ এবং সৌমেন। পরে শালবনি স্টেশনের কাছে তাদের ঘুম ভাঙ্গলে বুঝতে পারে তাদের পকেটে থাকা দুজনের কাছেই ২০ হাজার টাকা করে উধাও। সৌমেনের সোনার আংটিও নেই। আর ওই দুজনও ট্রেনে নেই। তখনই বুঝতে পারেন ওদের থেকে টাকা আর গহনা নিয়ে পালিয়েছে। জিআরপি কে খবর দেওয়া হলে মেদিনীপুর স্টেশনে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিউ দিল্লির করলবাগ এলাকায় পৃথক দোকানে সোনার কারিগরের কাজ করেন শম্ভু এবং সৌমেন।

বাড়ি আসার জন্য দোকানের মালিক দিয়েছিল ২০ হাজার টাকা। সৌমেন বলেন, যেহেতু বালিচক স্টেশনে নামবে বলে জানিয়েছিল সেই সূত্রে আলাপ জমে। কিন্তু মাদক মেশানো লাড্ডু জাতীয় কিছু খাইয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং সোনার আংটি নিয়ে পালিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। পুলিশ এসেছিল হাসপাতালে তাদেরও জানিয়েছি ঘটনা। এদিকে খড়গপুর জিআরপি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Drugged laddu
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape