শুভম সিং: লকডাউন মধ্যে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি দ্বিতীয়বার মোদী সরকারের একবছর পূর্তিতে দেশবাসীকে খোলা চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রীর সেই আত্মনিজ্ঞভর ভারতের বুলিকে বৈররণী করে এবার রাজ্য বিজেপি ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরিণী পার করতে চাইছে। আর সেই কারণেই এবার এক অভিনব প্রচার কৌশলের সাহায্য নিলে এরাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। আত্মনির্ভর ভারতকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীযে চিঠি লিখেছেন তা এবার এরাজ্যের প্রতিটি মানুষরে কাছে পৌঁছে দিতে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিজেপি নেতারা।
এমতাবস্থায় এরাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরাতে প্রধানমন্ত্রীর গৃহ সম্পর্ক অভিযানের সূচনা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।শনিবার দুপুরে তিনি এগরা থানার নেগুয়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোদীজীর লেখা চিঠি তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এদিন কয়েকটি বাড়িতে মহিলারা অভিযোগ করেন, লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে তাঁরা রেশন পাচ্ছেন না। এমনকী আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ত্রিপল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তাছাড়া এদিন গৃহ সম্পর্ক যাত্রা শেষ করার পর সাতমাইলে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগও করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ,সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আমাদের বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন।তাছাড়া যত ভোট এগিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পারছে তাদের এবার জেতার পরিস্থিতি নেই।তাই বিজেপিকে আটকাচ্ছে।এখানে কোনো গনতান্ত্রিক পরিবেশ নেই,সেই জন্য গনতন্ত্রের আসা করাও পুরোপুরি বৃথা।যেখানে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করছি তাই আমাদের সব জায়গায় আটকানো হচ্ছে।তাছাড়া দুর্নীতি চূড়ান্ত হচ্ছে।আমফানের পর তৃণমূল কর্মী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে বসেই টাকা পেয়ে যাচ্ছেন,কিন্তু আসল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা ত্রাণ না পেয়ে বারবার প্রশাসনের দারস্থ হয়ে অভিযোগ যানাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন,মানুষ এখন শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘেরাও করছে।কিন্তু মানুষ যদি খেতে না পায়,তাদের বাড়িঘর না থাকে তারা কি করতে পারে তা সরকারের ভাবা উচিৎ। মুখ্যমন্ত্রীর শুধু স্টেটমেন্ট দিলে হবে না, সমস্যা সমাধানের পুরোপুরি চেষ্টা করতে হবে।তাছাড়া পুলিশকে শুধু বিজেপির পেছনে না লাগিয়ে যারা সরকারের সম্পদ চুরি করছে তাদের পেছনে লাগান তাহলে মানুষ শান্ত হবে,না হলে পরবর্তী দিনে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে।