Dev took a dig at the central government after visiting Ghatal flood area.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : “ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাটকে বলব, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যেন বন্যার সময় ঘাটালে দেখে যান। এটা রাজনীতি করার সময় নয়, ঘাটালের মানুষ খুব কষ্টে রয়েছেন। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখছি তাঁরা যেন এই সময় ঘাটাল দেখে যান।” ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান না হওয়া প্রসঙ্গে রবিবার বন্যা পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন সাংসদ দেব। তিনি বলেন,ঘাটালের বন্যা দুর্গত মানুষদের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে সব জানাবো। এদিন একদিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে ঘাটালে আসেন দেব।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
দুটি টার্মে মোট দশ বছর সাংসদ থাকাকালীন প্রত্যেক বন্যাতেই ঘাটালে পৌঁছান দেব। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রবিবার দিনভর ঘাটাল মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ অভিনেতা দেব। বেলা ১২ টা নাগাদ প্রথমে তিনি পৌঁছান ঘাটাল শহরের আড়গোড়া এক নম্বর চাতালের কাছে, সেখানে স্থানীয় মানুষদের সাথে মত বিনিময় করার পাশাপাশি ত্রাণ বাবদ ত্রিপল তুলে দেন কয়েকজনের হাতে। তারপর তিনি পৌঁছান খড়ার সূর্যবাগ হেমাঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের ভাঙাচোরা অবস্থা দূর করতে নিজের সাংসদ কোটা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
সেখান থেকে তাঁর কনভয় সোজা পৌঁছে যায় ঘাটাল ব্লকের অজবনগর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওই এলাকায় যেতে অনেকটাই বেগ পেতে হয় দেবকে। হাঁটু সমান জলের উপর দিয়ে ছুটে যায় তাঁর গাড়ি। সেখানে বেশ কিছু মানুষের হাতে ত্রিপল তুলে দেন তিনি। দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফের বেরিয়ে পড়েন ঘাটালের উদ্দেশ্যে। ঘাটাল মহকুমা শাসকের দপ্তরে এক পোস্থ বৈঠক করেন তিনি। মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস দেবের কাছে ঘাটালের বন্যা সংক্রান্ত সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন। পরে দেব জানান , এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে জানাবেন তিনি। বিকেল ৩.৩০টা নাগাদ তিনি পৌঁছে যান দাসপুর-১ ব্লকের রাজনগরে। নৌকায় করে ঘুরে দেখেন বিস্তীর্ণ এলাকা।
জলবন্দি পাড়ায় গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। এই রকমই একদিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে ঘাটাল পরিদর্শন করেন দেব দেব জানান মমতা সরকার ঘাটালের মানুষের জন্য ছোট ছোট প্রজেক্ট তৈরি করে নদীগুলি সংস্কার করার চেষ্টা করছেন। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে কেন্দ্রীয় সরকার যেন ঘাটালের মানুষের কথা ভেবে মাস্টার প্ল্যানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে। দেবকে ঘিরে নিখোঁজ পোষ্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকলেই জানেন যে তিনি আসছেন, তার পরেও আসার আগের মুহূর্তে এই পোষ্টার, ওই পোষ্টারের খরচের টাকায় যদি কোনো মানুষকে সাহায্য করা হত তাহলে সেটা কাজে লাগত।
২০২৪ এর লোকসভায় তিনি আরও একবার ভোটে দাঁড়াবেন কিনা এই প্রসঙ্গে অবশ্য এদিন তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। সুকৌশলে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ২০২৩ টা আগে কাটুক তারপর ২০২৪ নিয়ে ভাবা যাবে। মাস্টার প্ল্যান প্রসঙ্গে দেবের উদ্দেশ্যে পাল্টা ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, দশ বছরের সাংসদ তিনি কেন কেন্দ্রকে বোঝাতে পারেননি মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। উনি ভালো অভিনেতা বন্যার সময় ছাড়া ঘাটালের মানুষ তাঁকে দেখতে পাননি। উনি যেন দিদিকে বোঝান কেন্দ্রের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে। তাহলেই ঘাটালের মানুষের জলযন্ত্রনার সমস্যার সমাধান হবে।
Ghatal Flood
আরও পড়ুন : বন্যা মোকাবিলায় ঘাটালে পৌঁছালো জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্ষয় উদ্ধারকারী বাহিনী, প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা শাসক-পুলিশ সুপার সহ ঘাটালের পদস্থ আধিকারিকরা
গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারে ঘাটালের রাজনীতির ময়দানে দেবকে দেখা যায়নি, তাহলে কি তিনি রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দেব জানান, সব ঠিকঠাক ভাবেই হয়ে গিয়েছে তাই আর তাঁর প্রচারে নামার দরকার পড়েনি। তবে আগামী দিনে তৃতীয়বারের জন্য ফের লোকসভার প্রার্থী তিনি হচ্ছেন কিনা সেই নিয়ে ঘাটালের রাজনীতিতে চলছে জোর জল্পনা। রবিবার দেব দর্শনে প্রত্যেক জায়গাতেই ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায় স্থানীয়দের। চলে সেলফি তোলার হিড়িক। এদিন দেবের সাথে বন্যা পরিদর্শনে সফর সঙ্গী ছিলেন সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, অমল পণ্ডা, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আশীষ হুদাইত, সমাজসেবী কৌশিক কুলভী, বিকাশ কর সহ ঘাটালের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন : ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নাম করে গ্রাহককে ফোন, অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দফায় কুড়ি হাজার টাকা গায়েব
আরও পড়ুন : IIT Delhi ও Kharagpur এর উদ্যোগে Robotics এর প্রশিক্ষণ শিবির মেদিনীপুর কলেজে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Ghatal Flood
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper