পত্রিকা প্রতিনিধি: রক্তক্ষরণ হলেও লড়াই থেমে থাকবে না , থামতে পারেনা। মরণপন লড়াই চলবেই। মারণ ভাইরাস করোনা ঠেকাতে চিকিৎসকদের মৃত্যু-মিছিল বিশ্বজুড়েইল এরাজ্যেও তার ব্যতিক্রম নয় । ফের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল করোনা যুদ্ধের এক প্রথম সারির যোদ্ধার। বর্তমানে ঝাড়গ্রামের সহকারী সি.এম.ও.এইচ -২ (সুবোধ মন্ডল-৫৮) এর পদ সামলাচ্ছিলেন তিনি।তাঁর প্রকৃত বাড়ি নদিয়া জেলার হাঁসখালিতে। চিকিৎসক সুবোধ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। জানা গিয়েছে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পিয়ারলেস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভেন্টিলেশন সাপোর্টও আধুনিক ওষুধ ব্যবহার করেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে।ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতর ভবন। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল। jhargram corona, jhargram corona,
আরও পড়ুন- প্রসূতির করোনা পজিটিভ ,ভর্তি নিতে গড়িমসি ,দীর্ঘক্ষন যন্ত্রনায় কাতরালেন মাতৃমার গেটে
করোনা পরিস্থিতিতে বারংবার ঝাড়গ্রামের চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এমন অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। অনেক জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের জরুরী চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ । তারই এক চিত্র সামনে এলো সোমবার।উল্লেখ্য সুবোধ বাবুর মৃত্যুর দিনই হোয়াটস অ্যাপে একটি ম্যাসেজ ভাইরাল ( যার সত্যতা যাচাই করে নি বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ) হয়। সেখানে ডা: রঙ্গন মজুমদার (জি.ডি.এম.ও, ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল) জানান, হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তিনি হঠাৎই চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পান ।দেরী না করে তিনি ছুটে গিয়ে দেখতে পান সুবোধ বাবু শ্বাসকষ্টে ছটপট করতে থাকেন ও তাঁর শরীরে খিচুনিও লক্ষ করা যায়। সুবোধ বাবুর স্ত্রী অসহায় হয়ে পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। তারপরেই অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সহায়তায় স্ট্রেচারে উদ্ধার করে তুলে নিয়ে গিয়ে স্থিতিশীল করা হয়।প্রায় আধ ঘন্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
এই পরিস্থিতির পর যখন সুবোধ বাবুর জ্ঞান ফেরে তিনি জানান, যে তাঁর অ্যন্টিজেন পরীক্ষায় কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ডা: রঙ্গন অভিযোগ করেন, সুবোধ বাবু কে বিভাগীয় গাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে জরুরী বিভাগের সামনে ফেলে রাখা হয় । তাঁর অফিস বা সুপারিন্টেন্ডেন্টের অফিসের কেউই তার অবস্থান সম্পর্কে জানান নি।শুধু তাই নয় যখন ডা: রঙ্গন ঝাড়গ্রামের সি.এম.ও.এইচ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, তাঁকে কোনোরকমভাবে সাহায্য করা হয়নি এবং সুপারের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়।সাথে সাথেই স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শে তাঁকে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় এবং বহুমুখী সুবিধা সম্পন্ন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য তারপর কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুবোধবাবুকে। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সুবোধ বাবুকে সোমবার দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi