বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : রাস্তা খারাপ,চিকিৎসা করাতে দেরী,বাদল মান্ডীর পর এবার প্রান গেলো ছোট্ট ক্ষুদে সুস্মিতার,ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার।আবারও শিরোনামে ডেবরার সেই লোয়াদা কাঁকড়া মোহনপুর গ্রাম। বেহাল পথে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকেনি বলে গত জুনে মারা গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এ বার মৃত্যু দু’বছর তিন মাসের শিশুর। অভিযোগ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে অসুস্থ হয়েছিল ছোট্ট সুস্মিতা মুর্মু। রাস্তার এমন খারাপ অবস্থা যে বাচ্চাকে নিয়ে পরিবার আর সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছতে পারেনি। যখন গেল, ছোট্ট পুতুলের মতো শরীরটা তখন নিথর। এ বারও প্রশাসন জানিয়েছে, এই মৃত্যু রাস্তার জন্য নয়। তবে পরিবার এই যুক্তি মানতে নারাজ। আর কোনও কথা শুনতে রাজি নয় গ্রামের লোকেরাও। তাই বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুস্মিতাদের বাড়িতে গেলে, তাঁকে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত যে, দুপুর অবধি গ্রামে ঢোকেনি পুলিশ। বিকেল ৫টার পরে গ্রামে যান। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে।ডেবরা ব্লকের ৯ নম্বর ষাঁড়পুর লোয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকড়া মোহনপুর গ্রাম। গ্রামের রাস্তা একেবারে পাঁক। গাড়িঘোড়া চলা তো দূরের কথা, মানুষ হেঁটে যেতে পারেন না ঠিক করে। মাস দেড়েক আগেই শ্বশুরবাড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাদল মাণ্ডি নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে খাটিয়ায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।হস্পতিবার ভোর ৩টে নাগাদ অসুস্থ হয় সুস্মিতা। পরিবারের দাবি, রাস্তা খারাপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : খেলার মাঠ ভেসে গেল সুবর্ণরেখায়!১২০০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীর পাড় ভাঙ্গন*
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপুর নাগাদ স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ সিং মৃতের বাড়িতে দেখা করতে গেলে, স্থানীয়রা তাঁকে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না গ্রামপঞ্চায়েত অফিস থেকে কেউ এখানে আসেন, ততক্ষণ পঞ্চায়েত সদস্যকে বেঁধে রাখা হবে। দুপুর গড়ালেও কেউ ঢোকেনি গ্রামে। ছাড়া হয়নি বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকেও।পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কুসোনা পান্ডা বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে মোরাম দেওয়া যায়নি। দ্রুত কাজ শুরু হবে। সব প্রস্তুত।’ এলাকার লোকজনের প্রশ্ন, দেড় মাসেও সময় হলো না মোরামের কাজ করার? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘মৃত অবস্থাতেই শিশুটিকে ডেবরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সম্ভবত বাড়িতে কিছু খাওয়ানোর সময়ই এই ঘটনা ঘটে।’

আরও পড়ুন : বর্ষায় সাপের উপদ্রব মেদিনীপুরে, গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার শতাধিক বিষধর সাপ!
ডেবরার বিডিও প্রিয়ব্রত রাঢ়ি এই সময় অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের যাচ্ছি। তবে আমি যতদূর খোঁজ নিয়ে দেখেছি, রাস্তার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়নি। বাড়িতে দুধ বা ওই ধরনের কিছু খাওয়ানোর সময়েই মৃত্যু হয়েছে। মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

বাদল মাণ্ডির মৃত্যুর পরেও বিডিও এই একই কথা বলেছিলেন। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেও দাবি করেছিলেন, ‘এই মৃত্যু রাস্তার কারণে হয়নি। উনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন।’ একই সঙ্গে বিডিও আশ্বস্ত করেছিলেন, কাঁকড়ার ওই কাঁচা রাস্তাটি ঢালাই রাস্তা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Child death
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape