বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন হলদিয়া: সুতাহাটা থেকে সূদূর রাজস্থানে পাড়ি দিল উদ্ধার হওয়া ১১টি উট।গত সপ্তাহে চোরা কারবারিদের বড়সড় চক্রের পর্দা ফাঁস করে হলদিয়ার সুতাহাটা থানার পুলিশ ১১টি উট উদ্ধার করে। পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর উটগুলি নিজেদের পরিচিত মনোরম আবহাওয়ায় ফিরতে পারছে জেনে খুশি পশু সুরক্ষা সংগঠনগুলিও। উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার দূর্বাবেড়িয়ায় চোরাপথে এই উটগুলি এসেছিল।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : বনদপ্তরের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন বনকর্মীরা
তারপর উটগুলি বিক্রির জন্য সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল।সেই পোষ্ট দেখে পশু সুরক্ষা সংগঠনের তরফে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ করেন অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের প্রাক্তন ওয়েলফেয়ার অফিসার সুব্রত দাস। এরপর পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে প্রথমে ৭টি এবং পরে আরও ৪টি উট উদ্ধার করে। তবে উটগুলিকে নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে প্রায় হিমশিম খাচ্ছিলেন থানার কর্মীরা। তাদের খাবার জোগাড় করতে গ্রামে গ্রামে হন্যে হয়ে ডাল-পাতা খুঁজতে লেগে পড়তে বাধ্য হন সুতাহাটার সিভিক ভলেন্টিয়াররাও।

কিন্তু তাতেও এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল উটগুলি। প্রাণী দফতরের তরফে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে সুতাহাটা থানা ও প্রাণিসম্পদ দফতরের তরফে উটগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেনে করে তাদের ট্রাকে তোলা হয়।
আরও পড়ুন : দীঘায় প্রথমবার গড়াবে রথের চাকা,প্রস্তুতি তু

এরপর তাদের রাজস্থান যাত্রা শুরু হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, উটগুলিকে উদ্ধার করার পর থেকেই আমরা তাদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। এবার আদালতের নির্দেশে তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর রাজস্থান থেকে আনা এই উটগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। উট কেনাবেচা আইনত নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন : জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মেদিনীপুর সদরে
তাই পুলিশ ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলস’ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। যদিও এখনও অধরা উট কারবারের সঙ্গে যুক্ত চোরা ব্যবসায়ীরা।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Camel rescue
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape