বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার ছোট্ট এক গ্রাম, দজিপুর। এখানেই কুঁড়ে ঘরের মতো এক আশ্রয়ে বেড়ে উঠছে এক মেয়ের বড় স্বপ্ন। নাম সঞ্জনা শাসমল। এবার বড়াই হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬২৯ নম্বর পেয়েছে সে। কিন্তু চোখে কম দৃষ্টি (৪০% প্রতিবন্ধী) নিয়েও তার লক্ষ্য স্থির—ডাক্তার হতে চায় সে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

সঞ্জনার বাবা প্রণব শাসমল ও মা কল্যাণী শাসমল—দু’জনেই দজিপুর বাজারে একটি ছোট দোকানে দর্জির কাজ করেন। রাতদিন কাজ করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন তাঁরা। অর্ধেক ইট আর অর্ধেক ছিটা বেড়ার বাড়ি, মাথার উপর অ্যাসবেস্টসের ছাউনি—এই ঘরেই তৈরি হয়েছে একরাশ স্বপ্ন।
আরও পড়ুন : রাতের অন্ধকারে ভাঙলো পানীয় জলের পাইপ, অভিযোগে তীর ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে

সঞ্জনা জানায়, “কষ্ট হবে জানি, কিন্তু ডাক্তার হবোই। মা-বাবা যা করছে আমার জন্য, আমি তাদের মুখ উজ্জ্বল করব।” পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় সে। অন্যদিকে, বাবা প্রণব শাসমলের চোখেও স্বপ্ন আর অশ্রু একসাথে—“যতই কষ্ট হোক, মেয়েকে একদিন তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেব। ও যেন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া।”
আরও পড়ুন : ইতিহাস স্মরণ করাতে চার বিপ্লবীর নামে মেদিনীপুরের রাস্তার নামকরণ
আর্থিক অনটন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা—সব বাধা পেরিয়ে একটি মেয়ে লড়াই করছে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য। তার পাশে দাঁড়ানো কি আমাদের দায়িত্ব নয়?
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Disabled success
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper