Home » Forest Department : বনকর্মীদের রাতভর আটকে হেনস্থা, বনদপ্তরের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ বনকর্মীদের! স-মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

Forest Department : বনকর্মীদের রাতভর আটকে হেনস্থা, বনদপ্তরের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ বনকর্মীদের! স-মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বন্যপ্রাণ শিকার আটকাতে রাতে জঙ্গলে টহলে দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হলো বনকর্মীদের। গভীর রাত থেকে পরের দিন বিকেল পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখার অভিযোগ। রেঞ্জ আধিকারিক না যাওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়। অথচ প্রায় ১৬ ঘন্টা অপেক্ষার পরও দেখা মিলল না রেঞ্জ আধিকারিকের। মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান। বনদপ্তর ও স্থানীয় ভাবে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনা রেঞ্জের আঁধারনয়ন বিটের একটি জঙ্গলে শিকার উৎসব ছিল বুধবার। রাতে স্থানীয় কয়েকজন সহ এক বনকর্মী জঙ্গলে টহল দিতে গিয়েছিল। তাদের ঘিরে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জানতে চাওয়া হয় এত রাতে তারা গাড়ি নিয়ে কেন জঙ্গলে ঢুকেছে? জঙ্গলে আগুন লাগানো এবং সাপ ধরে সাপের বিষ পাচারের জন্য এসেছিল, এমনই অভিযোগ তুলে রাতভর তাদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আঁধারনয়ন বিট অফিসার প্রশান্ত দাস মহন্ত সহ বনকর্মীরা। তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেঞ্জ আধিকারিক না এলে তাদের ছাড়া হবে না।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :

For WhatsApp Group : Click Here

এইভাবে রাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত আটক করে রাখা হয়। বনকর্মীরা মার খেলেও ঘটনাস্থলে যাননি চন্দ্রকোনা রেঞ্জ আধিকারিক। যার ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বনকর্মীদের মধ্যেও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বনকর্মীদের সংগঠন অরণ্য শাখার সভাপতি সঞ্জয় মাজী বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আক্রান্ত বনকর্মীরা লিখিত আকারে জানালেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বুধবার বিকেলে রেঞ্জ আধিকারিক না গেলে তারা একটি মুচলেকা দিয়ে কোনরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে বলে জানান। ওই ঘটনায় আক্রান্ত হন আঁধারনয়ন বিট অফিসার প্রশান্ত দাস মহন্ত সহ বেশ কয়েকজন। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বনকর্মীদের একাংশ। ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রেঞ্জ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও। প্রায় ১৬ ঘণ্টা আটক করে রাখলেও কেন রেঞ্জ আধিকারিক কোন উদ্যোগ নিলেন না তাদের উদ্ধার করতে?

প্রশান্ত দাস মহন্ত বলেন, “রাতে আমরা যখন যায় তখন কয়েকজন আমাদেরকে হেনস্থা এবং মারধর করে। পরেরদিন বিকেল পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। আমাদের জানানো হয়েছিল রেঞ্জ আধিকারিক না এলে ছাড়া হবে না।” যদিও মারধরের ঘটনা মানতে নারাজ মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম। তিনি বলেন, “শিকার উৎসবের জন্য টহল দিচ্ছিল বনকর্মীরা। সেই সময় বেশ কিছু মানুষজন তাদের আটক করে রাখে। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনকর্মী বলেন, “রেঞ্জ আধিকারিক এবং দপ্তরের পক্ষ থেকে যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, পরবর্তী ক্ষেত্রে কাজ করতে অনিহা দেখা দিবে আমাদের।” পাশাপাশি চন্দ্রকোনা রেঞ্জ এলাকায় বেআইনি কাঠ মিলের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় মানুষজন। তাতে বনদপ্তরের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, চন্দ্রকোনা রেঞ্জ এলাকায় বহু বেআইনি কাঠ চেরাই মিল রয়েছে। সেক্ষেত্রেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ডিএফও বলেন, “ওই এলাকার বেশ কিছু মিলের বিরুদ্ধে কোর্টে কেস চলছে। কিছু মিলকে নোটিশ ধরানো হয়েছে। এর বাইরেও কিছু থাকলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.