বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। বিজেপি ও সিপিআইএমের গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুবরা পথে নামলো প্রতিবাদে। তৃণমূলের ব্যানারে তলাতেই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একটা অংশ। যদিও এসএসসি ভবনে আন্দোলনকারীরা এদের ‘অযোগ্য’ বলেই দাবি করছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here
পাল্টা, প্রমাণ করে দেখাক আমরা অযোগ্য দাবি উঠছে। যুব তৃণমূল এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারে শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিলেই পা মেলালো ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা।

এই মিছিলে আগাগোড়া সিপিএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। স্লোগানে উঠেছে, “বিকাশ ভট্টাচার্যের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও।” তাদের দাবি, সিপিএম এবং বিজেপির চক্রান্তেই এই ২৬ হাজারের চাকরি গিয়েছে। আস্থা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপর। সমস্যার সমাধান একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী করতে পারবেন বলেও তারা জানান। গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক ব্রজ দুলাল গিরি-র চাকরি গিয়েছে। তিনিও এদিন শাসক দলের মিছিলে পা মিলিয়েছেন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন। আমরা ওনার প্রতি আস্থাশীল। আমরা যে ২৬ হাজার চাকরি হারিয়েছি, আমরা মনে করি মুখ্যমন্ত্রী একমাত্র সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। যে কারণে মিছিলে পা মিলিয়েছি। আজ ছয় বছর চাকরি করার পরে বাম এবং বিজেপি আমাদের চাকরি বাতিল করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ পর্যন্ত প্রমাণ হয়নি যে আমরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। আমাদের দাবি আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দিক।”
এর আগে মেদিনীপুর শহরে মিছিল, বিক্ষোভ, অবরোধ করেছিল চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের আরেকটি অংশ। আর একটি অংশের মিছিল হল তৃণমূলের সঙ্গেই। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে একটা বড় অংশ অভিযোগ করেছিল ৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী অযোগ্যভাবে নিয়োগ পেয়েছিল। তাদের বাঁচাতেই এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। মিছিলে অংশ নেওয়া চাকরি বাতিল শিক্ষাকর্মী শৈবাল ভদ্র বলেন, “পুরো প্যানেল বাতিল করতে বলেছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তাহলে আমরা কেন বলব না বিকাশ ভট্টাচার্যের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও। আজ আমাদের চাকরি বাতিল হয়েছে শুধু বাম-বিজেপির চক্রান্তে।
সিবিআই যে ওএমআর শিট দেখাচ্ছে, ওটা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। যে ১৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা সরকারের বিরুদ্ধে ডিআই অফিস ভাঙচুর করছেন, মিছিল করছেন, তাদের বলব আপনারাও চাকরি হারিয়েছেন আমরাও চাকরি হারিয়েছি। আসুন আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্যানেলটাকে সুপ্রিম কোর্টে বাঁচায়।” যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “সিপিএম এবং বিজেপি রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্ত করতে না পেরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন প্রাণ থাকতে কারও চাকরি যেতে দেবেন না। আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে অনুরোধ করব কোন রাজনৈতিক প্ররোচনা পা না দেওয়ার জন্য।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Medinipur Protest
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper