বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুরে মহিলা থানায় আদিবাসী গবেষক ছাত্রী সহ চারজনকে মহিলা থানায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে থানার ওসি সাথি বারিক সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে মেদিনীপুরে মিছিলে যোগ দিলেন আরজিকর আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাত, আসফাকুল্লাহ নাইয়া।

2/7. পুলিশকে নিশানা করে বলেন, “রাষ্ট্রের ক্রীতদাসের চরিত্রের পথ বহন করে দেখাচ্ছে পুলিশ।” সোমবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে “সিটিজেনস ফর জাস্টিস” সংগঠনের ডাকে নাগরিক কনভেনশনে যোগ দেয়। পরে শহরে মৌন মিছিল করে।
3/7. অনিকেত মাহাত বলেন, “মহিলা থানার ওসি সহ তার নেতৃত্বে যখন এই বর্বর ঘটনা ঘটছে, তখন ভেবে দেখুন তিনিও একজন মহিলা। উনি পড়াশোনা করেছেন, ওসি হয়েছেন। পাড়া-প্রতিবেশী পরিবারের সাফল্য কুড়িয়েছেন। আজকে তিনি যে মনুষ্যত্ব নৈতিকতার অধঃপতনের পরিচয় দিলেন সেই অধঃপতনের জায়গায় উনি ডাহা ফেল। ওনার এই ভূমিকা বাংলার সভ্য সমাজ কোনদিন ক্ষমা করতে পারবে না।” আরজিকর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা টেনে তিনি বলেন, “পুলিশ আজ রাষ্ট্রের ক্রীতদাসের চরিত্রের পথ বহন করে দেখাচ্ছে।”


4/7. উল্লেখ্য, ৩ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটে ডিএসও কর্মীরা মিছিল করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটে পৌঁছালে তাদের থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে চার মহিলা কর্মীকে মহিলা থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, তাদের হাতে পায়ে গরম মোম ফেলা হয়েছে। ওসি সাথি বারিক বেল্ট খুলে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ। ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।
আরও পড়ুন : এগরায় জঙ্গি সন্দেহে আটক ২ বাংলাদেশি
আরও পড়ুন : পিংলায় আবগারি দপ্তরের অভিযান, ২০০০ লিটার চোলাই তৈরীর উপকরণ নষ্ট
5/7. পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অত্যাচারের অভিযোগে কোতয়ালি থানাতেও বিক্ষোভ দেখায় জন অধিকার সুরক্ষা কমিটি। আরজিকর আন্দোলনে গড়ে ওঠা “সিটিজেনস ফর জাস্টিস” সংগঠনের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে নাগরিক কনভেনশনের ডাক দেয়। সেদিনের মহিলা থানার অভ্যন্তরে ঘটনার বিবরণ দেন অত্যাচারিত পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন, জগবন্ধু অধিকারী, ডাঃ দীপক কুমার গিরি সহ অন্যান্যরা।
6/7. বক্তারা বলেন, “পরাধীন ভারতবর্ষে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এরকম নারী নির্যাতনের ঘটনা বিরল। মহিলা থানার ওসি নিজের বেল্ট খুলে মারা, গরম মোম গায়ের উপর ঢেলে দেওয়া, পায়ের উপর দাঁড়িয়ে এমনভাবে লাঠি দিয়ে পেটানো যাতে বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন না থাকে, চুলের মুঠি ধরে শূন্যে ঝুলিয়ে রাখা, অশ্রাব্য গালিগালাজ ও মেরে পুঁতে দেওয়ার হুমকি, এইসব কীর্তির যাতে কোন দাগ না থাকে জোর করে স্নান করানো ইত্যাদি-ভয়াবহ ঘটেছে পুলিশ কাস্টোডিতে। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক চুড়ান্ত নিদর্শন।”
আরও পড়ুন : মেলা দেখতে গিয়ে বচসা! নারায়ণগড়ে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
আরও পড়ুন : পিংলায় বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ড্রাইভার সহ ২
7/7. পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আরজিকর আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লাহ নাইয়া। তিনি বলেন, “ছাত্রদের উপর রাষ্ট্রের অত্যাচার নেমে আসছে। সাধারণ মানুষ যখন ঘটনার বিচার করছেন, সেই সময় এই জেলার পুলিশ সুপারের বক্তব্য দেখে মনে হল, তিনি একজন রাজনৈতিক ক্যাডারের মতো বক্তব্য রাখছেন। সেই বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায় কত নির্বিচারে পড়ুয়াদের থানার মধ্যে অত্যাচার চালানো হয়েছে। যদি বিবেক থাকে পুলিশের, তাহলে এই বোনগুলোর সামনে এসে দাঁড়াক। তাদের যোগ্যতা দেখুন। আজকের শাসক ছাত্রদের প্রতিবাদকে ভয় পেয়েছে। তাই তাদের মেরে ভয় দেখাতে চাইছে। আরজিকর আন্দোলনের পর থেকে সাহস ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে। তাই পুলিশ ভয় পাচ্ছে। আজকে যে অত্যাচার পুলিশ চালাচ্ছে এগুলো পরাধীন ভারতে শুনেছিলাম।”
আরও পড়ুন : হাওড়া লোকালে শিক্ষককে বেধড়ক মার দুষ্কৃতীদের! মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
আরও পড়ুন : নকল সিও নিয়ে বালি পাচারে গুড়গুড়িপালে গ্রেপ্তার চার
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Protest against police brutality in Medinipur
#MedinipurProtest
#PoliceBrutality
#RGKarStudents
#JusticeForVictims
#StopPoliceViolence
#HumanRights
#AniketAsfaqulla
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper