Home » Torture Allegation Against OC : থানার ভেতরে জ্বলন্ত মোমের ছেঁকা, বেল্টের ঘা মহিলাদের! মেদিনীপুরের ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা

Torture Allegation Against OC : থানার ভেতরে জ্বলন্ত মোমের ছেঁকা, বেল্টের ঘা মহিলাদের! মেদিনীপুরের ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটের কাছে পৌঁছাতেই ধর্মঘটকারীদের থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তার মধ্যে চার মহিলাকে মহিলা থানাতে নিয়ে যায়। সেখানেই গভীর রাত পর্যন্ত নির্বিচারে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠল থানার ওসির বিরুদ্ধে।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :

For WhatsApp Group : Click Here

ফাইল চিত্র

2/8. জ্বলন্ত মোমের ছ্যাঁকা, বুটে লাথি, এমনকি কোমরের বেল্ট খুলেও মারা হয় বলে অভিযোগ মহিলা থানার ওসি সহ পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তাঁর দাবি, এমন কোনো ঘটনা ঘটার অবকাশ নেই।” তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সারা রাজ্যে।

3/8. ওই মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন পিছিয়ে পড়া জনজাতির সুশ্রীতা সরেন। তিনি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং গবেষক। উল্লেখ্য, যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে গত ৩ মার্চ কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। তারই সমর্থনে মেদিনীপুর কলেজ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল ও পিকেটিং করে বাম ছাত্র সংগঠন ডিএসও এবং এসএফআই।

4/8. কয়েকজন ডিএসও কর্মী মিছিল করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে পৌঁছালেই তাদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ। এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুলিশ এক ডিএসও কর্মীর শরীরে হাঁটু দিয়ে চেপে রয়েছেন এবং অন্য এক পুলিশ লাথি মারছেন‌। মহিলা ডিএসও কর্মী আহত হলে তারা পুলিশের গাড়ির ভেতর থেকে জল চাইছেন। জল না দিয়ে তাকে চড় মারতে উদ্ধত হন এক পুলিশকর্মী। থানায় নিয়ে গিয়ে মহিলা কর্মীদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হয় গভীর রাত পর্যন্ত, এমনটাই অভিযোগ ডিএসও কর্মীদের।

আরও পড়ুন : এগরায় জঙ্গি সন্দেহে আটক ২ বাংলাদেশি

আরও পড়ুন : পিংলায় আবগারি দপ্তরের অভিযান, ২০০০ লিটার চোলাই তৈরীর উপকরণ নষ্ট

5/8. ডিএসও-র সুশ্রীতা জানিয়েছেন, “থানার মহিলা ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা লাথি মেরেছে, কোমরের বেল্ট খুলে মেরেছে। জ্বলন্ত মোম ঢেলে ছ্যাঁকা দিয়েছে আমার হাতে এবং পায়ে। আমাকে পা মেলে বসতে বলে পায়ের উপর পাঁচ পুলিশ কর্মীকে দাঁড়াতে বলে ওসি। তারপর বেত দিয়ে আমাকে মারতে থাকে।”

6/8. ডিএসও-র আরেক মহিলা কর্মী বর্ণালীর নায়েক বলেন, “আমার মুখে বুট দিয়ে লাথি মারা হয়েছে। ঠোঁট কেটে গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ শৌচাগারে যেতে দেওয়া হয়নি।” পাশাপাশি মেদিনীপুর কলেজে এসএফআই মহিলা কর্মী সুচরিতা দাসকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় থানায়। সেখানে তাকেও মারধর এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ।

7/8. যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের দাবি, “এমন কোন ঘটনা ঘটার অবকাশ নেই। সেখানে যথেষ্ট সংখ্যক সিনিয়র অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। থানায় ওদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ধৃতদের ওই রাতেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” তবে থানায় মারধরের অভিযোগ গড়ালো কলকাতা হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জমজ তিন ভাইকে ঘিরে কৌতুহল

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের পুণ্যার্থী ছাড়াই মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে উরুষ উৎসব

8/8. এক ছাত্রী থানার ভেতরে মারধরের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন। বিচারপতি সেই মামলা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন। তবে বিষয়টি যে আদালতে গড়াবে তা হয়তো আঁচ করতে পেরেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার। তিনি বুধবার বিকেলে বলেন,”এটি একটি বামপন্থী দল পুলিশকে চাপ দেওয়া, ওসির নামে, আইসি-র নামে কমপ্লেন করে অযথা এই জিনিসটিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আশা রাখবো যদি তারা মাননীয় হাইকোর্টেও জিনিসটা নিয়ে যায়, আমরা হাইকোর্টেও সমস্ত তথ্য পরিসংখ্যান সহিত জমা দিতে সক্ষম হব।”

আরও পড়ুন : মেলা দেখতে গিয়ে বচসা! নারায়ণগড়ে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

আরও পড়ুন : পিংলায় বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ড্রাইভার সহ ২

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Torture allegation against OC

#MedinipurIncident
#PoliceBrutality
#WomenAbuse
#JusticeForVictims
#HighCourtCase
#HumanRightsViolation
#StopPoliceViolence
#BengalNews
#BreakingNews
#DSOProtest

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.