বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পায়ে লিখে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, এ যেন এক অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার ঐকান্তিক প্রয়াস। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত করকাই বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক সেন্টারের এক ছাত্রের। মনের জোর ও অদম্য ইচ্ছা শক্তি দিয়ে, স্থির লক্ষ্যে এগিয়ে চলা বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং হবে। তবে এর মধ্যেই বাধা সেঁধেছে শারীরিক বিশেষ সক্ষমতা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

2/7. শরীর এবং মনের সঙ্গে দিনের পর দিন চলে লড়াই, তবু জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সে। নিজের সাথে লড়াই করে এগিয়ে চলেছে নিরন্তর। দুটো হাতে কর্মক্ষমতা না থাকলেও, পায়ে লিখে দিচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার স্বপ্ন বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং হওয়ার। সেই মত প্রতিদিন প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। জেঠুর বাইকে চেপে বাবাকে পেছনে বসিয়ে পরীক্ষা দিতে আশা তার। তারপরেই আবার বাড়িতে গিয়ে পড়তে বসা।
3/7. অন্যান্য স্বাভাবিক ছেলে মেয়েদের মত চলাফেরার ক্ষমতা থাকলেও হাতে তার কোনো জোর নেই। স্বাভাবিক হাতের থেকে অনেকটাই ছোট তার হাত রয়েছে হাতে চারটে করে আঙ্গুল। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠেছে। চলতি শিক্ষা বর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্র। তার রয়েছে অংক পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা জীববিদ্যা, বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জমজ তিন ভাইকে ঘিরে কৌতুহল
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের পুণ্যার্থী ছাড়াই মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে উরুষ উৎসব
4/7. পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের বেরুয়া গ্রামের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কল্যান বেরা। পিওর সায়েন্সের ছাত্র সে। মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে করকাই বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ এ। শারীরিক অসুস্থতার কথা মনে পড়লে চোখে জল আসে তার বাবা-মায়ের। সারাদিনের পরিশ্রম এবং পড়ার জন্য নিরন্তর মনের সঙ্গে যুদ্ধ ভাবলেই কেঁদে উঠে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কল্যাণ।


5/7. প্রতিদিন আর পাঁচজন ছেলে মেয়েদের দেখে সে, দুহাত দু পা আছে তাদের। দুহাত দিয়ে সবাই যা করে সেটা করতে পারে না। তবে মনের জোর ছাড়েনি। প্রত্যন্ত গ্রামের সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সে। বাবা চাষাবাদ করে সংসার চালায়। সামান্য ছিটেবেড়া বাড়ি থেকেই বড় হয়ে ওঠা। একদিকে সাংসারিক অর্থাভাব অন্যদিকে মনের সঙ্গে লড়াই, এভাবে প্রায় ১৮ টা বছর নিচের জীবন অতিবাহিত করেছে সে।
আরও পড়ুন : মেলা দেখতে গিয়ে বচসা! নারায়ণগড়ে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
আরও পড়ুন : পিংলায় বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ড্রাইভার সহ ২
6/7. বরাবরই মেধাবী সে। জন্মের পর থেকেই দুহাত অকেজো। বিশেষ এক শারীরিক অসুস্থতার কারণে দু হাত স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই ছোট। ফলত, সেই দুই হাতের কোনও কার্যক্ষমতা নেই। স্বাভাবিকভাবে ছোট থেকেই পা দিয়ে লেখা অভ্যাস করেছে সে। যে পা দিয়ে চলাফেরা করে, সেই পা ভরসা উচ্চমাধ্যমিকে লেখার জন্য। মেদিনীপুর জেলায় এমন এক কৃতি ছাত্রকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
আরও পড়ুন : হাওড়া লোকালে শিক্ষককে বেধড়ক মার দুষ্কৃতীদের! মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
আরও পড়ুন : নকল সিও নিয়ে বালি পাচারে গুড়গুড়িপালে গ্রেপ্তার চার
7/7. তার এই কঠোর অধ্যাবসায় এবং তার এই পড়াশুনার প্রতি জেদ ও ভবিষ্যতের ইচ্ছেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। লক্ষ্য বি.টেক করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। পছন্দের বিষয় রসায়ন। সময়ের সঙ্গে লড়াই করা প্রতিদিন। মনের জোর এবং আগামীর ইচ্ছে নিয়ে চলা। ছাত্রের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। এমন এক লড়াই সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার।
আরও পড়ুন : এগরায় জঙ্গি সন্দেহে আটক ২ বাংলাদেশি
আরও পড়ুন : পিংলায় আবগারি দপ্তরের অভিযান, ২০০০ লিটার চোলাই তৈরীর উপকরণ নষ্ট
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Beat the obstacles
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper