Paschim Medinipur
বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : একেবারে বিরল নজির! এশিয়া স্পেসিফিক (Asia Pacific) যোগা চ্যাম্পিয়নে একই সাথে স্থান পেল মা ও মেয়ে। জাতীয় স্তরের যোগ ব্যায়াম প্রতিযোগিতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার একবারে প্রত্যন্ত এলাকার মা ও মেয়ের এই নজর কাড়া সাফল্যে গর্বিত জেলাবাসী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা সেক সাব্বির আলির মাত্র ৭বছরের কন্যা সনম খাতুন ও তাঁর স্ত্রী তাহেরা খাতুন। গত মাসের ২৯ ও ৩০ শে জুন উত্তরাখণ্ডে আয়োজিত UYSF National যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় প্রায় কয়েক হাজার জন প্রতিযোগীদের মধ্যে একই সাথে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সিলভার ট্রফি ও সিলভার মেডেল প্রাপ্ত হলেন মা তাহেরা ও কন্যা সনম খাতুন ।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
জানা গিয়েছে, মা ও মেয়ে দুজনেই এশিয়া প্যাসিফিক ফ্রম থাইল্যান্ড (Asia Pacific From Thailand) ও ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্রম ভাইজ্যাক বিশাখাপত্তনম (World Cup from Vizag Visakhapatnam) সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম এ তাদের কৃতিত্ব দেখানোর সুযোগ পেয়েছে। কৃতিময়ী সনম এর বাবা ও মা জানিয়েছেন এর আগেও সনম Hariyana te ন্যাশনাল লেভেলে অংশগ্রহণ করে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হয়েছে। আমরা জানি না ওকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো তবে সর্বত্বভাবে পাশে থাকবো। যোগার পাশাপাশি পড়াশোনা, ড্রয়িং, জিমন্যাস্টিক ভালবাসে সনম।
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
স্থানীয় স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছে সে। অন্যান্য রাজ্যের প্রতিযোগী সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাফল্য মিলেছে মেদিনীপুরের সনম। সনম এর ছোট থেকেই নেশা যোগব্যায়ামের।যোগব্যায়ামকে ধ্যান ও জ্ঞান হিসেবে ভেবে ভবিষ্যতে এগোতে চায় সে। খুদে চ্যাম্পিয়ন সনম জানায়, ভবিষ্যতে যোগা ও জিমনাস্টিক Gymnastics নিয়ে এগোতে চাই। যোগা ও জিমন্যাস্টিক Gymnastics নিয়েও পড়াশোনাও করতে চাই। এই সাফল্যের পিছনে মা ও বাবা প্রশিক্ষক হিসেবে সবরকম সাহায্য করেছেন। সেই সাথে সাহায্য করেছেন- কোচ -সাগরিকা মাজী বেরা গৌরবোটি যোগ ব্যাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ভোগপুর, বালিচক, পশ্চিম মেদিনীপুর) ও বাগনান যোগাচার্য আশ্রম, কোচ- প্রদীপ গুরিয়া।
অন্যদিকে অনেক আগে থেকেই মা তাহেরা ও বাবা সাব্বির যোগব্যায়ম করতেন, তাঁর ঝুলিতেও রয়েছে জেলা ও রাজ্য স্তরের নানা স্মারক সম্মান, ট্রফি ও মেডেল। গৃহের কাজ সামলেই সে সুযোগ পেলেই যোগব্যায়াম প্রাকটিস করতেন পাশাপাশি নিজের মেয়েকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন মা তাহেরা, এই কাজে এগিয়ে যাওয়া ও অনুপ্রেরণার জন্য সব সময় পাশে পেয়েছেন তাঁর স্বামী সাব্বিরকে। বলাইবাহুল্য ,তাঁদের এই নজরকাড়া সাফল্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুকুটে গর্বের নয়া পালক যুক্ত করলো। আরো অনেক দূর এগিয়ে যাক খুদে যোগা চ্যাম্পিয়ন এমনটাই প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন তার প্রতিবেশী ও পিং লাবাসী।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper