Awas Yojana Corruption
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে হাতের কাছে পেয়ে অনেকেই অভিযোগ জানালেন বাড়ি না পাওয়ার। সেই অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আনার কথা জানালেন ভারতী ঘোষ। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া অঞ্চলে বিজেপির সম্মেলন ছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। তার কাছে অনেকেই অভাব, অভিযোগ জানালেন আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়া নিয়ে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন বিজেপি করার অপরাধে অথবা যারা প্রকৃত বাড়ি পাওয়ার দাবিদার অথচ বঞ্চিত তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে। ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর জন্য তিনি কথা বলবেন। এদিন সম্মেলনের আগে মিছিল করে চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যায় ডেপুটেশন দিতে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস, মন্ডল সভাপতি সুজিত জানা, আশীর্বাদ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। আগে থেকেই পঞ্চায়েত অফিসের গেটে মোতায়ন ছিল পুলিশ।
Awas Yojana Corruption
তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গেটের সামনেই বক্তব্য রেখে এক প্রতিনিধিদল ভেতরে গিয়ে ডেপুটেশন দেয়। প্রধান ও উপপ্রধান না থাকায় আধিকারিককে তাদের দাবি জানিয়ে এসেছেন। আবাস যোজনা দুর্নীতি মুক্ত না হলে ফের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজপি। অরূপ দাস বলেন, “তৃণমূলের নেতা ও তার পরিবারের সকলের নামে বাড়ি এসেছে, অথচ প্রকৃত গরীব মানুষ বাদ পড়েছে। চরম দুর্নীতি করছে তৃণমূল।” পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্যদের কোনরকম কাজ করতে না দেওয়ারও অভিযোগ।
বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা জানিয়েছে, তারা পঞ্চায়েত অফিসে গেলেও তাদের কোনো রকম কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের না জানিয়েই কাজ করা হচ্ছে। ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তবে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এই বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই তর্ক-বিতর্ক বাঁধে। তাদের অনেকেই অভিযোগ তুলেছে – “বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিধি না নিয়ে ওই চারজন গিয়ে কি আলোচনা করবে? নাকি সেটিং চলছে ভেতরে?”
আরও পড়ুন : হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের মূর্তি থেকে হকি স্টিক ভেঙে দিলো দুস্কৃতিরা
যদিও পরে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বিষয়টি সামাল দেয়। তাও বিক্ষোভের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে চলা এই তর্ক-বিতর্ক কার্যত অস্বস্তিতে ফেলেছিল বিজেপি নেতাদের। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম দত্ত। তিনি বলেন, “বিজেপি কর্মসূচীতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে। লোকজন আনার জন্য মদ্যপানেরও ব্যবস্থা থাকে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে ওই কর্মসূচীতে মদ্যপ অবস্থায় অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তা থেকেই নিজেদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল।”
পাশাপাশি সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা করেন ভারতী ঘোষ। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির মত আইসিডিএস-এর নিয়োগেও দুর্নীতিও ধরা পড়বে তৃণমূলের। তাতেও একাধিক দুর্নীতি হয়েছে।” পাশাপাশি বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়া নিয়ে রাজ্য সরকারের মদত রয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের মদত ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।
আরও পড়ুন : একাধিক দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৮ স্থানে পথ অবরোধ, ভোগান্তি
আরও পড়ুন : বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় বিজেপি সাংসদও জড়িত থাকতে পারে! কেশপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ জয়প্রকাশ মজুমদারের
পাথর ছোঁড়া ঘটনার পর কোন পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার।” যদিও তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেছিলেন, “মালদার সাংসদ ওই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।” তবে তার মন্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নন ভারতী ঘোষ। তিনি বলেন, কেউ কেউ গরম গরম দু-চারটা মিথ্যা কথা বলে দিলে তা নরম নরম সত্য হয়ে যায় না। আজকে জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে গিয়েছে কালকে আবার বিজেপিতে ফিরে আসবে। তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিব না।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Awas Yojana Corruption
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper