ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি দিন আনা দিন খাওয়া সংসার তা সত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের। ক্ষোভে ফুঁসছে একাধিক আদিবাসী পরিবার। দোতলা পাকা বাড়ি,তাদের তালিকায় নাম রয়েছে, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করা হল কেনো?এমনকি সরকারি প্রকল্পে দলবাজির অভিযোগ তুলে তা বন্ধ সহ একাধিক দাবি তুলে পোস্টার পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে দাসপুরের তাতালপুরে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে,এবার আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ গেল একাধিক আদিবাসী পরিবারের।ভোট আসে ভোট যাই কিন্তু নেতাদের প্রতিশ্রুতিই সার।ভোট আসলেই নেতারা ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দেয় সাধারণ মানুষদের,আদেও কি সেই নেতাদের প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হয়?সাধারণ মানুষের বক্তব্যে পরিষ্কার নেতারা শুধুমাত্র ভোটের সময় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কাজের সময় কাজ করে না।এবার আবাস যোজনায় নামের তালিকায় নাম নেই দাসপুর ১ নং ব্লকের সরবেড়িয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তাতারপুর গ্রামের একাধিক আদিবাসী পরিবারের।
PM Awas Yojona
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,তাতারপুর গ্রামে বসবাস করে ৫০ টির মত আদিবাসী পরিবার।আর সেই পরিবারের মধ্যে কারোরই আবাস যোজনায় নামের তালিকায় নাম নেই।আশপাশের গ্রামে আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আবাস যোজনার তালিকা ধরে সার্ভে করলেও তাদের গ্রামে ঢুকেনা।আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে বসবাসকারী আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের সদস্যদের দাবি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি পাইনি।
বর্তমানে আবাস যোজনায় অন্যান্য এলাকার মানুষজনরা বাড়ি পেলেও এই এলাকার মানুষজনরা বঞ্চিত। তাদের দাবি একটি মাটির বাড়িতে কোনরকম ভাবে জীবন কাটাতে হচ্ছে।কোন কোন সময় ভেঙে পড়ছে তাদের বাড়িও।তবুও আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই ওই সমস্ত ব্যক্তিদের।বাড়ি না পেয়ে এবার ওই এলাকায় পোস্টারিং করল ৫০ টিরও বেশি আদিবাসী পরিবার। পোস্টারে উল্লেখ,’আবাস যোজনা প্রকল্পে গরিব আদিবাসী মানুষের একটিও নাম নেই কেন পঞ্চায়েত প্রধান জবাব দাও।
এমনকি কোন কোন পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে ‘দোতলা তিনতলা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনা তালিকায় তাদের নাম দেওয়া হল কেন দাসপুর এক নম্বর বিডিও জবাব দাও।পাশাপাশি কোনও কোনও পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে,সরকারি প্রকল্পে দলবাজি চলবেনা,অবিলম্বে দলবাজি বন্ধ করো।’এলাকা জুড়ে এমন একাধিক পোস্টারিংকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।এ বিষয়ে এলাকার বাম নেতা প্রবীর সামন্ত বলেন,এক প্রকার লুকিয়ে এই নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।এই এলাকার যারা আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া যোগ্য তাদের নাম কাটা হয়েছে সেই সমস্ত পরিবারদের অবিলম্বে আবাস যোজনায় নামের তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁশকুড়ার গ্রামে ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ
ভোটের জন্য বেছে বেছে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে আর তাতে এইসমস্ত আদিবাসী পরিবারগুলি বঞ্চিত।এই পাড়াটি শাসকদলের পক্ষে না থাকার জন্যই এদের এই দুরবস্থা।”যদিও এ বিষয়ে দাসপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক কেন্দ্র সরকারের দিকেই দায় ঠেলে বলেন,আমাদের দল বারে বারে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে প্রকৃত গরিব মানুষ এখনো যাদের মাটির বাড়ি আছে তাদের পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করার সুযোগ করা হোক এবং তাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা হোক কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই আবেদনে এখনো পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে নির্বিঘ্নেই শেষ হল Primary TET পরীক্ষা, পরীক্ষা কেন্দ্রে ফিডিং সেন্টার
আমাদের সরকার এইসমস্ত মানুষদের বাকি সমস্ত রকমের প্রকল্পের সুবিধা দিয়ে চলেছে।বাড়ি না পাওয়া প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান,এইখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে তাদের নিজস্ব জায়গা না থাকায় কিছু সরকারি সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না।তবে আমাদের এখানে যেসব খাস জায়গা রয়েছে তা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে পাট্টা হিসাবে বিতরণ করে যাতে অন্য সরকারি প্রকল্প দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছি।”একটি গোটা পাড়া আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ পড়া এবং তাকে কেন্দ্র করে পোস্টারিংকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন : খাবারের খোঁজে মেদিনীপুর সদরে হাতির হানা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও মিষ্টি দোকানে
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই TET, রাস্তা সুগম রাখতে মেদিনীপুরে টোটো-অটোতে না! নজরদারি চলবে পুলিশ- প্রশাসনের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
PM Awas Yojana
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper