Jagannath Snan Yatra 2022 : মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে স্নান যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই । করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পরিস্থিতিতে বিগত দুই বছর স্নানযাত্রায় অনেকটাই কাটছাঁট করা হয়েছিল । এই বছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। মনে করা হচ্ছে, এই বছর বেশ সমারোহেই পালিত হবে রথযাত্রা।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : করোনা আবহে প্রায় ২ বছর ন্যায় ভক্তসমাগম ছাড়াই জেলায় (মেদিনীপুর শহর, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে) জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পালিত হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে স্নান যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই । করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পরিস্থিতিতে বিগত দুই বছর স্নানযাত্রায় অনেকটাই কাটছাঁট করা হয়েছিল ।

আরও পড়ুন : দিঘায় ৪৫ কোটি ব্যয়ে তৈরি হতে চলেছে চিড়িয়াখানা

সমস্ত ভক্তবৃন্দরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং অবশ্যই মাস্ক পরে প্রভূ জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করেছিলেন। বন্ধ ছিল রথযাত্রা উৎসব। মন্দির সংলগ্ন অস্থায়ী মাসিবাড়িতে জগন্নাথের বিভিন্ন বেশে পুজো ও অন্যান্য ধর্মীয় রীতি পালিত হয়। কিন্তু এবছর করোনার আর কোনো বিধি-নিষেধ না থাকায় ধূমধাম করে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। আর দিন ১৫ পরই রথযাত্রা। আর এই রথযাত্রার অংশই হল স্নানযাত্রা। গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সেভাবে ধূমধাম করে রথযাত্রা উৎসব পালন করা হয়নি।

আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! পশ্চিম মেদিনীপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ জনের, আহত ১

তবে এই বছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। মনে করা হচ্ছে, এই বছর বেশ সমারোহেই পালিত হবে রথযাত্রা। আজ স্নান যাত্রার এই তিথিতেই জগন্নাথদেব মর্তে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। এবছর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা সম্পন্ন হল মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে। প্রতিবারের মতো এবারও মন্দির সংলগ্ন কংসাবতী নদী থেকে বাদযন্ত্র সহকারে ৭ টি কলসিতে করে জল আনা হয়। সকল ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে হয় স্নানযাত্রা। এবার সকাল থেকেই বহু ভক্তের সমাগম হয় মেদিনীপুরের জগন্নাথ মন্দিরে।

আরও পড়ুন : “শুভেন্দু অধিকারীর মত দাঙ্গাবাজকে ঘর থেকে বেরোতে দেওয়াই উচিত নয়, পুলিশ সঠিক কাজ করেছে”, মেদিনীপুরে মন্তব্য দেবাংশু-র

করোনার কাঁটা পার করে উপচে পড়ে মানুষের ঢল। প্রসঙ্গত আগামী ১ জুলাই পড়েছে রথযাত্রা এবং ৯ জুলাই পড়েছে জগন্নাথদেবের পুনর্যাত্রা অর্থাৎ উল্টো রথ । গত ২ বছর করোনা অতিমারীর জন্যে ছন্দপতন হয়েছে রথযাত্রা ও জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসবে। এবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। তাই নিয়মকানুন পালন সর্বত্র। জগন্নাথ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ এবছর শহরজুড়ে রথের পরিক্রমা করানো হবে । নতুনবাজার সংলগ্ন মাসির বাড়িতে জগন্নাথের বিভিন্ন বেশে পুজো ও অন্যান্য ধর্মীয় রীতি পালিত হবে।”

আরও পড়ুন : কলা বিভাগে ৪৭০ পেয়ে তাক লাগাল জঙ্গলমহলের সোহম, লক্ষ্য শিক্ষক হওয়া

কথিত আছে, স্নানযাত্রার পরে শ্রীজগন্নাথদেব এক পক্ষ কাল দৃশ্যমান থাকেন না। মনে করা হয়, তাঁর জ্বর হয়েছে। সেই সময়ে তিনি রাজবৈদ্যের অধীনে চিকিৎসিত হতে থাকেন। এই পর্বটিকে ‘অনাসর’ বা ‘অনবসর’ বলা হয়। যেহতু এই সময়ে দারুব্রহ্মকে দেখা যায় না, সেহেতু তাঁর পটচিত্রে পুজো দেন ভক্তরা। কথিত আছে, আজ স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেব জ্বরে কাবু হয়ে গৃহবন্দী হবেন।জ্বর সারাতে দয়িতাপতিরা ওষুধ পথ্য অর্থাৎ মিষ্টি রসের পানা বিশেষ পাচন ও নানা ধরণের মিষ্টান্ন ভোগ দেন।

আরও পড়ুন : কাজ থেকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শালবনী হাসপাতালে ধর্না অস্থায়ী কর্মীদের

কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক ‘পাঁচন’ খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সুস্থ হয়ে উঠে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রাজবেশে সজ্জিত হয়ে রথযাত্রা করে মাসির বাড়ি যান।রথের আগে পর্যন্ত ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পাবেন না। এই কয়েকটা দিন পূজিতও হবেন না জগতের নাথ। রীতিমত কম্বল মুড়ি দিয়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকার পর হবেনা রথযাত্রার দিন রাজ বেশে রাজ রথে করে অবতীর্ণ হবেন মাসির বাড়িতে।

আরও পড়ুন : জলচকের ২২ জন কৃতির ফলাফলে সন্দেহ দেখিয়ে পর্ষদে চিঠি বিজেপির শিক্ষক নেতার

ঘি মধু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের ফলের রস ও অসংখ্য দ্রব্যাদি দিয়ে জগন্নাথকে স্নান করানো হচ্ছে সকাল থেকে।এক পক্ষকাল জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা দৃশ্যমান থাকেন না। শ্রীচৈতন্যদেব পুরীতে অবস্থানকালে প্রতিদিন জগন্নাথ সন্দর্শনে যেতেন। অনবসরকালে তিনি এই সন্দর্যন থেকে বঞ্চিত হন। তখন তাঁকে স্বয়ং ভগবান জানান, তিনি অলরনাথ রূপে বিরাজ করছেন ব্রহ্মগিরিতে। শ্রীচৈতন্য ব্রহ্মগিরিতে গিয়ে জগন্নাথ দর্শন করেন।

‍স্নানযাত্রার কারণে গতকাল সোমবার থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়েছে পুরীর মন্দিরের দরজা। প্রত্যেক বছর দেবস্নান পূর্ণিমায় পালিত হয় এই রীতি। মহাস্নানের আগে পর্যন্ত জগন্নাথ রত্নবেদীতেই থাকেন। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম ও শেষে সুভদ্রাকে পুষ্পাঞ্জলি দেন মন্দিরের সেবায়েতরা। এরপর তাঁদের স্নানবেদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মঙ্গল আরতি ও সূর্যপুজোর পর তিনজনকে প্রস্তুত করা হয় মহাস্নানের জন্য।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Jagannath Snan Yatra 2022

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore