Tensions over the influence of two groups of Trinamool Chhatra Parishad at Medinipur Homeopathy Medical College
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : এমনিতেই মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তার পাশাপাশি মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়াল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাশাপাশি “জুনিয়র ডক্টরস নেটওয়ার্ক”-নামে নতুন সংগঠন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এদিন। তা থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল নেতৃত্ব বিক্ষোভ ঘেরাও শুরু করে কলেজে। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। ছুটে আসে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:- বন্ধ মিড ডে মিলের রান্না! চাল চুরির অভিযোগ তুলে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
আরও পড়ুন:- জন্মদিনের আগে ক্যান্সার রোগীদের জন্য মাথার চুল দান মেদিনীপুরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আদৃতা-র
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে এই কলেজে “জুনিয়র ডক্টরস নেটওয়ার্ক” নামে নতুন সংগঠনের নতুন বডি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন ড: কিশলয় আহমেদ পিয়াদা। কিশলয়ের দাবি, “রাজ্যজুড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাশাপাশি তৃণমূলের ছাত্র-ছাত্রীদের আরো একটি ইউনিট তৈরি হয়েছে। যার নাম ‘জুনিয়র ডক্টরস নেটওয়ার্ক’। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান ডঃ শান্তনু সেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোন বিরোধিতা না করে আরও একটি সক্রিয় সংগঠন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এটার মাধ্যমে। আমরাও তৃণমূলেরই সংগঠন।
Trinamool Chhatra Parishad
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি আদালতের দুই আইনজীবি সহ ৫ জন ল-ক্লার্ককে নোটিস ধরাল CBI
আরও পড়ুন:- হলদিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে ! বিক্ষোভ আমানতকারীদের
কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ভুল বুঝে আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা এই কলেজের হাউস স্টাফ ও ইন্টার্নশিপের ছাত্রছাত্রীরা। সংগঠনের বডি তৈরি হয়েছে আজ।” অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ সায়ন বলেন, “এটা কোন বৈধ সংগঠন নয়। ছাত্র সংগঠনকে বিভাজন তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে একদল বহিরাগত। কলেজের মধ্যে বহিরাগত ঢোকা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। পুলিশকে সব জানিয়েছি। আমরা এই বিভাজন আটকাতে ও বহিরাগত প্রবেশ আটকাতে এফআইআর করব।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা গৃহবধূর
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচ হাজার শিক্ষকের পেনশন বন্ধ! ডেপুটেশন
এর জন্য প্রয়োজনে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারি আমরা।” কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ ডা: শ্রীমন্ত সাহা বলেন, “এরা কেউই বহিরাগত নয়। কলেজের স্টুডেন্ট শিপ শেষ হলে ইন্টার্নশিপ ও হাউস স্টাফ শিপ হয়। নতুন যারা বডি তৈরি করতে হাজির হয়েছিলেন তারা ইন্টার্নশিপ ও হাউসস্টাফ এর ছাত্র-ছাত্রী। সরকারি এই কলেজে অনেক ছাত্র ছাত্রীর সংগঠন থাকে। আমরা নির্দিষ্ট নিয়মে বহিরাগত বাদ দিয়েই অনুমতি দিয়েছিলাম। আমরা ভাবি নি এরকম গন্ডগোল হবে। পরে বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।”
আরও পড়ুন:- বেতন বৈষম্যের বিরুদ্ধে মেদিনীপুর হাসপাতালে বিক্ষোভ নার্সেস ইউনিটির
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Trinamool Chhatra Parishad
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore