Heavy Rain
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: দু’দিনের প্রবল বর্ষণে দুর্ভোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। বর্ষণের কারণে জেলায় মৃত্যু সাত জনের। কয়েক হাজার বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি জলের তলায় কৃষি জমি। বিভিন্ন রুটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কেশিয়াড়ির খাজরা এলাকায় রাস্তার উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যাতায়াত। খাবার ও পানীয় জলের হাহাকার। জেলার বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে। মেদিনীপুর শহরের বহু জায়গা জলের তলায়। কার্যত গৃহবন্দী মানুষজন। শহরের ধর্মা, বিবেকানন্দনগর, প্রদোৎনগর, পাটনাবাজার, জুগনিতলা, পালবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা জলের তলায়। দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। সকাল থেকে পানীয় জলের হাহাকার। রাস্তার উপর দিয়ে বইছে হাঁটু জল। তার মধ্যে ছুটে চলেছে গাড়ি।
আরও পড়ুন:- জলবন্দি ঝাড়গ্রামে বিক্ষোভ, নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে পথ অবরোধ এলাকাবাসীর
আরও পড়ুন:- টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম, জলমগ্ন একাধিক পৌর এলাকা
Heavy Rain
বাড়িগুলিতেও জল ঢুকে পড়েছে। জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা তীব্রতর হয়েছে। শহরের বিভিন্ন নালা আবর্জনায় বুজে রয়েছে। যার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর প্রশাসন ব্যর্থ জল নিকাশি ব্যবস্থা করতে। পৌর প্রশাসক, জেলা শাসক, এসডিও থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরে বারে বারে জানানো সত্ত্বেও কোন উদ্যোগ তারা নেয়নি বলেও অভিযোগ। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন একতল বাড়িতে থাকা মানুষজন। জলের মধ্যেই রাত কেটেছে তাদের। বাড়িতে জল প্রবেশ করায় বাড়ছে সাপের উপদ্রব। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জল বের করার কোনো ব্যবস্থা না নিলে জমা জলে এলাকায় নানান রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও স্থানীয়দের আশংকা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়ে প্রাচীরের দেওয়াল। মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী, মনিদহ, চাঁদড়া, ধেড়ুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি জলের তলায়। ব্যাপক ক্ষতির আশংকা কৃষকদের।
আরও পড়ুন:- বাড়িতে ঢুকেছে জল, নিকাশি নালার দাবিতে পথ অবরোধ পশ্চিম মেদিনীপুরে
আরও পড়ুন:- রাস্তায় জল, বন্ধ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ী- খড়্গপুর যাতায়াত, ভেসে গেল বিশ্বকর্মার প্রতিমা
জেলার বালিচক রেলস্টেশনের উত্তর দিকে ছোট ঘর এবং বড় ঘরগুলির একতলা জলের তলায়, রাস্তায় এক কোমর জল। দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং এলাকায় দীর্ঘদিনের দাবি মেনে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিকভাবে গড়ে না তোলার কারণে বালিচকের ভোগপুর, রঘুনাথপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ব্যাপকভাবে প্লাবিত। বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসনের দপ্তরে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। প্রশাসনের এই ভূমিকার জন্য এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। বুধবার ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কোবির, বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান এবং রেল দপ্তরকে নিকাশি ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানিয়েছে বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটি।
Heavy Rain
আরও পড়ুন:- পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরে, পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের
এদিকে আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর গোদাপিয়াশাল রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় রেল লাইনে প্রায় একশ থেকে দেড়শ মিটার এলাকাজুড়ে ধ্বস নামে। এর ফলে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। জানা গিয়েছে, প্রবল বর্ষণের জন্য এই এলাকায় ভূমি ধ্বস দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে নিকটবর্তী গোদাপিয়াশাল রেল স্টেশনে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল আধিকারিকরা। দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করেন। পাশাপশি বুধবার সাতসকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে শালবনিতে। চারচাকা গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের সময় জলের তোড়ে ভেসে গেলেন গাড়ি সহ চালক। ঘটনাটি শালবনি টাকশাল যাওয়ার রাস্তায় জুলির চাতালে। দীর্ঘক্ষন পরে খোঁজ মেলে চালকের। জীবিত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে মৃত কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য বিজেপির, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের
Heavy Rain
অন্যদিকে, খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তগর্ত পশ্চিম পাতরী গ্রামে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। অনবরত বৃষ্টির কারণে গত মঙ্গলবার রাতে রাখাল হেমব্রম (৩৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাখাল বাবু বাড়িতেই ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।অপর দিকে খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত খরিদায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত লালডাঙা এলাকায় সঞ্জয় খামরুই (৩৫) নামে এক ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে গিয়ে মারা যান বলে জানা যায় খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ সূত্রে। প্রবল বর্ষণের কারনে মাটির বাড়ি ভেঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ভেঙ্গেছে ৮ হাজারের বেশি। জেলার মেদিনীপুর ও খড়্গপুর মহকুমাতে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বহু জায়গায় বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের ৷
আরও পড়ুন:- আধুনিক পদ্ধতিতে বক্স-ক্রাব টেকনোলজিতে কাঁকড়া চাষের প্রসার বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরে
দাঁতন ও নারায়নগড় এলাকাতেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৃতদের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে সরকারি নিয়মে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শাসক রশ্মি কমল। তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রবল বর্ষণের কারনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ভেঙেছে ৮ হাজারের বেশি। বহু কৃষি জমির ফসল জলের তলায়। মানুষজনকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলিতে পরিদর্শন করছেন অতিরিক্ত জেলা শাসক ও আধিকারিকরা। তবে মেদিনীপুর পৌর এলাকার জল নিকাশী স্বাভাবিক করতে কংসাবতী নদীর অ্যানিকেট গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:- জেলা জুড়ে নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল রাধাষ্টমী উৎসব
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Heavy Rain
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Suffering from two days of heavy rains spread across West Midnapore district. Seven people died in the district due to rains. Thousands of houses were demolished as well as agricultural land under water. The communication system has been cut off on different routes. In Khajra area of Keshiari, the traffic is closed due to water flowing over the road. The cry of food and drinking water. Anger is also growing with the drainage system in different places of the district. Many places in Medinipur city are under water. Virtually housebound people. Various areas of the city including Dharma, Vivekananda Nagar, Pradotnagar, Patnabazar, Juganitla, Palbari are under water. The suffering of ordinary people is increasing. The cry of drinking water from the morning. Knee water is flowing on the road. The car is running in it.
The houses have also been flooded. This problem has been exacerbated by the lack of drainage. The city’s various drains are littered with garbage. Due to which anger is growing among the locals. Locals complain, municipal administration failed to arrange drainage. It is also alleged that they did not take any initiative despite repeated requests from municipal administrators, district governors, SDOs and government departments. People living in one-storey houses are facing the most problems. They spent the night in the water. Snake infestation is increasing as water enters the house. The locals also fear that various diseases could spread in the area if no action is taken to get water out during the war. The walls collapsed in different areas of the city. Agricultural lands of Kankabati, Manidaha, Chandra and Dherua in Medinipur Sadar block are under water. Farmers fear massive losses.
To the north of the district’s Balichak railway station, under the single-storey water floor of small houses and large houses, is a waist-deep street. It is alleged that the administration has been indifferent in demanding permanent action for a long time. Extensive areas including Bhogpur and Raghunathpur in Balichak have been inundated due to heavy rains and inadequate drainage system in the area. There was no benefit even after the Balichak Station Development Committee informed the administration department. The people of the area are angry for this role of the administration. The Balichak Station Development Committee on Wednesday appealed to Debra MLA Humayun Kobir, BDO Shinjini Sengupta, the area panchayat chief and the railway department for drainage.
Meanwhile, in the middle of Medinipur Godapiyashal railway station in West Midnapore district under Adra division, a landslide occurred in an area of about one hundred to one hundred and fifty meters on the railway line. As a result, the train movement on the up line was stopped. It is learned that the locals saw landslides in this area due to heavy rains. He later informed at the nearby Godapiyashal railway station. Railway officials reached the spot. Quickly began repair work. Besides, a tragic accident took place at 7 am on Wednesday in Shalbani. The driver along with the car was swept away by the water while traveling in a four-wheeler. The incident took place in Julie’s attic on the way to Shalbani Mint. After a long time, the driver was found. The locals rescued him alive.
On the other hand, a man died when the wall of his house collapsed in Paschim Patri village under Khargpur local police station. A 38-year-old shepherd named Hembrum died last Tuesday night due to incessant rains. According to local sources, Rakhal Babu was sleeping in his house when the wall hit him. He died on the other side. In the formula. As many as seven people were killed in a landslide in West Midnapore on Wednesday afternoon due to heavy rains. More than 6,000 houses were destroyed. The worst affected areas are Medinipur and Khargpur subdivisions of the district. In many places, 8 people died when the walls of their houses collapsed.
Flood situation has also been created in Dantan and Narayangarh areas. District Magistrate Rashmi Kamal has assured financial assistance as per the government rules once the autopsy process of the deceased is over. He said seven people had died due to heavy rains in West Midnapore district. More than 6,000 houses were destroyed. Crops of many agricultural lands are under water. Necessary measures have been taken to rescue the people. Additional district governors and officials are inspecting the most affected areas. However, the Aniket gate of Kangsavati river has been opened to normalize the drainage of Medinipur municipal area.