Heavy Rain
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: গভীর নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার দিনভর বৃষ্টিতে নাজেহাল হলেন সাধারণ মানুষ। একেবারে ব্যতিব্যস্ত জনজীবন। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ওড়িশা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের হালকা ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। বুধবারের মধ্যে নিম্নচাপটি ছত্তিশগড়ের দিকে চলে যাওয়ার কথা। ফলে আগামীকাল সকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে আবহাওয়া সূত্রে বলা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে মঙ্গলবার দিনভর কখনও হালকা কখনও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে । বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোলজিক্যাল পার্কের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার মেদিনীপুরে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭০.১ মিলিমিটার। অর্থাৎ সোমবারের থেকে মঙ্গলবার প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এদিন গড় তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩৯ সেন্টিগ্রেড।
আরও পড়ুন:- পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরে, পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে মৃত কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য বিজেপির, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের
বাতাসে গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮.১ শতাংশ। এদিন কখনও হাল্কা আবার কখনও ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই একটানা বৃষ্টির জন্য সিংহভাগ মানুষ ঘর থেকে বের হননি। খুব প্রয়োজন না থাকলে লোকজন ঘরেই বন্দি ছিলেন ।দিনভর বৃষ্টিতে শহর বা গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটে এক্কেবারেই কম লোকজন চলাফেরা করেছে। বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি অফিসে সাধারণ মানুষ বা উপভোক্তাদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম । বাজার, হাট, বাসস্ট্যান্ডে লোকজন নেই বললেই চলে । রাস্তাঘাটে খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বেরোয়নি। রাস্তায় টোটো, অটো বা বাইকের সংখ্যাও ছিল কম। পুজোর মুখে বাজারগুলোতে ক্রেতাদের দেখা মেলেনি। পরিস্থিতি বুঝে দুপুরের পর সিংহভাগ দোকান বন্ধ করে দেন মালিকরা।
Heavy Rain
আরও পড়ুন:- আধুনিক পদ্ধতিতে বক্স-ক্রাব টেকনোলজিতে কাঁকড়া চাষের প্রসার বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরে
এই বৃষ্টির মধ্যেও জেলার বিভিন্ন জায়গায় দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে। শিবিরে লোকজন এলেও অন্যান্য দিনের থেকে উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে মৃৎশিল্পীরা। বছরের এই সময়ে তারা বিশ্বকর্মা ও দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। টানা তিনদিনে বৃষ্টি তাদের কজকর্ম একেবারে পণ্ড হয়ে গিয়েছে । মূর্তি যেমন শুকোচ্ছে না, তেমনি বাইরে মূর্তি রেখে কাজ করা যাচ্ছে না বলে দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা। তিন দিনের বৃষ্টিতে মেদিনীপুরের শহরের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থায় চেহারা বেরিয়ে আসে। এবারও তাই হল।
আরও পড়ুন:- জেলা জুড়ে নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল রাধাষ্টমী উৎসব
শহরের প্রায় সমস্ত বাড়ি নালাগুলো আবর্জনায় বন্ধ থাকায় কিংবা নালার ওপর অবৈধ দোকান তৈরি হয়ে যাওয়ায় নালা দিয়ে বৃষ্টির জল নিষ্কাশন বিঘ্নিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই নালা উপচে রাস্তার ওপর দিয়ে বইতে থাকে সেই নোংরা জল।সেই জল পেরিয়ে পথচারীদের যাতায়াত করতে কোথাও আবার নোংরা জল লোকের বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে। এদিকে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন নদী বাঁধেও জল বেড়েছে ।গালুডি ব্যারেজ ষাট হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আর এই জল ছাড়ার জন্য ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:- সুখবর! পুজোর আগেই খুলছে নয়াগ্রামের জঙ্গলকন্যা প্রকৃতি উদ্যান
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Heavy Rain
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Due to the deep depression, the common people were overwhelmed by the rain all day on Tuesday. Absolutely busy public life. According to meteorological department sources, light to heavy rains are continuing in South Bengal due to concentrated low pressure in the Bay of Bengal off the coast of Orissa. The depression is expected to move towards Chhattisgarh by Wednesday. As a result, the weather will improve from tomorrow morning, meteorological sources said. Jhargram, including two Midnapores, received light to heavy rains throughout the day on Tuesday. According to the Meteorological Department of Vidyasagar University Metrological Park, the total rainfall in Midnapore on Tuesday was 80.1 mm. In other words, the average temperature on Monday was 25.39 centigrade.
The average relative humidity in the air is 97.1 percent. On this day, sometimes light and sometimes it rained heavily. Most of the people have not left their homes since morning due to continuous rain. People confined to their homes unless they needed to. The presence of ordinary people or consumers in various government or private offices was very low. It goes without saying that there are no people in the markets, markets and bus stands. People did not come out on the road without much need. The number of Toto, auto or bike on the road was also low. Buyers were not seen in the markets in the face of Pujo. Realizing the situation, the owners closed most of the shops in the afternoon.
Even during this rain, government camps have been set up at various places in the district. Although people came to the camp, the attendance was relatively less than on other days. Potters are facing the most problems. At this time of the year they are busy making Bishwakarma and Durga idols. The rain for three days in a row has completely ruined their work. As the idols are not drying, the potters are worried that the idols cannot be kept outside. After three days of rain, the condition of the city of Medinipur has become extremely dilapidated. When it rains, the city’s dilapidated drainage system comes to the fore. This time too it happened.
Almost all the houses in the city are blocked by sewers or illegal shops are built on the drains, which disrupts the drainage of rain water through the drains. Naturally, the dirty water overflows the drain and flows over the road. Meanwhile, three days of continuous rains have also increased the water level in various rivers. Galudi Barrage has released 60,000 cusecs of water. And some parts of Jhargram, West Midnapore are likely to be flooded to release this water.