Scientist
আরও পড়ুন ঃ–ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু হচ্ছে পঠন-পাঠন, জানালেন উপাচার্য
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ দেশজুড়ে বাড়ছে স্মার্টফোনের চাহিদা। তবে করোনা অতিমারির জেরে ফের একবার বেশিরভাগ মানুষই গৃহবন্দি। ফিরেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এই আবহে বন্ধ জীবনে একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহারও। তবে অপনার ফোন ব্যবহার করার সময় হাত থেকে পড়ে গিয়ে আচমকাই ফোনের ‘ডিসপ্লে’ (Mobile Display) নষ্ট হয়ে গিয়েছে? মোবাইল স্ক্রিন ভেঙে গিয়ে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ফাটল তৈরি হয়েছে ? তাহলে আপনি ভাবছেন, এবার হয় বেশ কিছু টাকা খরচ করে ফোনের স্ক্রিন বদল করবেন ? নাকি সেই টাকা খরচ না করেসেই টাকায় নতুন একটি ফোন কিনবেন। তবে তা আর এখন করতে হবে। আপনার এইসব সমস্যার সমাধান করা এখন বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়। ইতিমধ্যে এই গবেষণায় সফলতায় একঝাঁক বিজ্ঞানী। আর অভিনব আবিস্কারের দিক থেকে এগিয়ে খড়গপুর (kharagpur)।
খড়্গপুর আইআইটি (Kharagpur IIT) এবং কলকাতার আইআইএসইআর (IISERs)-এর তিন বিজ্ঞানী মিলে দীর্ঘ গবেষণায় এমনই এক জৈব পদার্থ আবিষ্কার করেছেন। আর সেই জৈব পদার্থইতিমধ্যে যা ব্যবহার করলে ভেঙে যাওয়া মোবাইল স্ক্রিন এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে নিজে থেকেই জুড়ে যাবে। তাছাড়া শুধুমাত্র মোবাইল ফোন নয়, এই আবিষ্কার বিভিন্ন বৈদ্যুতিন গেজেট, মহাকাশযান, রোবট সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এবং ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিতে পারে বলে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।
এবিষয়ে খড়্গপুর আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আইআইটি’র মেটেরিয়াল সায়েন্স (Material Science) বিভাগের অধ্যাপক ভানুভূষণ খাটুয়া, আইআইএসইআর-এর অধ্যাপক সি মালা রেড্ডি এবং অধ্যাপক নির্মাল্য ঘোষের যৌথ গবেষণায় এই অতিস্ফটিক কঠিন জৈব পদার্থটি আবিষ্কার করা হয়েছে। পুরো গবেষণাপত্রটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিখ্যাত ‘সায়েন্স’ পত্রিকায়।
অপরদিকে বিজ্ঞানীরা জানান, এই জৈব পদার্থ মাধ্যমে নিজে থেকে জুড়ে যাবে মোবাইলের স্ক্রিন। তবে এর আগে — এমন জৈব পদার্থ এর আগেও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেগুলি সবই থকথকে নরম পদার্থ। এই তিন বিজ্ঞানী যেটি আবিষ্কার করেছেন, তা আগের পদার্থগুলির থেকে ১০ গুণ বেশি কঠিন। তবে এই কাজের জন্য দরকার বৈদ্যুতিন চার্জ।এই কারণে এই প্রযুক্তি মোবাইল ফোন, এলইডি স্ক্রিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের উপর ব্যবহার করা সুবিধাজনক। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাছাড়া সমস্ত সরঞ্জামের আয়ু অনেকটাই বাড়বে। অধ্যাপক ভানুভূষণ খাটুয়া বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এ নিয়ে আমরা গবেষণা করে চলেছি। আমরা একটা ‘অর্গানিক মলিকল’ বানাতে পেরেছি। এটি ব্যবহার করে শুধু মোবাইল ফোন বা এলইডি টিভি’র প্রযুক্তি নয়, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং অটোমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও নানা ধরনের সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এ তো গবেষণাগারে চার দেওয়ালের মধ্যে বিজ্ঞানীদের সাফল্য। তাছাড়াআশা করা যায়, খুব শীঘ্রই মানুষ এই গবেষণার সুফল পাবেন। তাতে মানুষ শখের প্রয়োজনীয় জিনিসকে আবারও ফিরে পাবেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Scientist
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore