Flood
আরও পড়ুন ঃ–করোনা যুদ্ধে প্রয়াত স্বাস্থ্যকর্মীর স্ত্রী’র হাতে নিয়োগপত্র, মৃত কৃষকদের পরিবারকে চেক প্রদান ঝাড়গ্রামে
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ নিম্ন চাপের জেরে টানা বর্ষন। জামবনীর (jamboni) চিল্কীগড়ে ডুলুং (dulung river) নদীতে জল বাড়ায় কজওয়ের উপর দিয়ে তীব্র গতিতে বয়ে যাচ্ছে জল । কজওয়ের উপর জল উঠে যাওয়ায় জেলা শহর ঝাড়্গ্রামের (Jhargram) সাথে চিল্কীগড় (chilkigarh), চিচিড়া (chichira), গিধনীর (gidhni) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর জল ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে।ঝাড়গ্রামের দিক থেকে চিল্কিগড় পেরিয়ে জামবনি ব্লকের সদর গিধনি সহ বিভিন্ন গ্রাম গুলিতে যাওয়ার পথ বন্ধ ।অন্যদিকে চিল্কিগড়ের অপরপ্রান্তে গিধনি, চিল্কিগড়, চিচিড়া, কেদাডাংরি সহ অসংখ্য গ্রাম থেকে জেলা সদর ঝাড়গ্রাম সরাসরি আসা যাচ্ছে না। যেতে হলে অনের ঘুর পথে যেতে হচ্ছে।আর এই অবস্থায় মানুষ ভরসা করছেন উত্তরাশোল চিল্কিগড় বাঁশের সাঁকোর উপর।এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা সদরে আসার এবং জামবনি ব্লক এর বিভিন্ন গ্রামে যাওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের উদ্যোগে তৈরি হওয়া উত্তরাশোল চিল্কিগড় বাশের সাঁকোর উপর নির্ভর করছেন। উল্লেখ্য গত বছর উত্তরাশোল সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ডুলং নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি।
উত্তরাশোল,পারুলিয়া,বনভূম,বাদাকাট,জড়কাশোল,পালবাঁশি সহ প্রায় ৩০-৩৫ টি গ্রামের মানুষকে উত্তরাশোল চিল্কিগড়ের মাঝে বয়ে যাওয়া ডুলুং নদী পেরিয়ে গিধনি,চিল্কিগড়,ঝাড়গ্রাম যেতে হত।এই এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে এখানে কংক্রিটের স্থায়ী সেতুর দাবি করে আসছেন।বিধায়ক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়েও আজও কোন স্থায়ী সেতু হয় নি।সারা বছর মানুষ জন নদীতে জল কম থাকার জন্য পায়ে হেঁটে পারাপার করতে পারতেন।কিন্তু বর্ষার সময় ডুলং নদীর জল এতটাই বেড়ে ওঠে যে মানুষ পারাপার করতে পারেন না।শেষ বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা গত বছর প্রায় দুশো ফুট লম্বা একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন।নাম দিয়েছেন ‘হুল সেতু।”
বর্ষায় চিল্কিগড়ে কজওয়ের উপর জল উঠে যাওয়ার ফলে এই ‘হুল’ সাঁকোই ভরসা হয়ে উঠেছে মানুষের।এদিন চিল্কগড় দিয়ে পারপার করতে না পেরে মানুষ জন উত্তরাশোলের সাঁকো দিয়েই পারপার করেছেন।এই ঘটনায় অবারও উত্তরাশোল চিল্কিগড়ের মাঝে কংক্রিটের সেতুর দাবি জোরালো হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা গোবীন্দ সোরেন বলেন “ এই এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছেন কংক্রিটের স্থায়ী সেতুর জন্য।গত বছর মানুষ জন একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই বাঁশের সেতু তৈরি করেছেন।স্থায়ী সেতু তৈরি না হলে মানুষের সমস্যার সমাধান হবে না।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Flood
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore