Central team
আরও পড়ুন ঃ–ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হল বনকর্মীর, পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতালের হানায় ভাঙল বাড়ি
পত্রিকা প্রতিনিধি: ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ। বার বার অভিযোগ করেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার স্বীকার হয়েছেন যেসব মানুষজন, তাঁদের কাছেই পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।
অভিযোগকারীরা প্রায়ই গেরুয়া সমর্থক।গত সোমবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জামবনি (jamboni) থানার ভাদুই (Bhdui) গ্রামে নিহত বিজেপি কিসান মোর্চার বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় দল। সেখানে গিয়ে তাদের আত্মীয়-পরিজনদের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধিরা।এবং সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ তাঁরা লিপিবদ্ধ করেন।
যদিও এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই খুনের পেছনে তৃণমূলের কোনরকম হাত নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয় শাসক দলের নেতৃত্বরা। পাশাপাশি তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির অন্তর কলহের জেরে কিশোর খুন হয়েছেন। রোজদিন কার মত এদিনও কিশোর তার বাবাকে ঝাড়গ্রাম থেকে আনার জন্য বাড়ি থেকে মোটর বাইক নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন। গত ৫ মে সন্ধ্যায় জামবনির (Jamboni) খাটকুরা (Khatkura) এলাকায় আক্রান্ত হন কিশোর। পরে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি (Jhargram super speciality Hospital) হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিশোরের বাবা রেলে কর্মরত বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর এই ঘটনার জেরে একজনকে আটক করা হয়। সাংসদ কুণার হেমব্রম (Kumar Hembram) বলেন,” পরিবারটি জঙ্গল এলাকায় থাকায় ভয় দেখানো হচ্ছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সমস্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন।”
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) নারায়নগড়ের (Narayangarh) দুটি জায়গায় পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দলটি। গ্রামরাজ পঞ্চায়েতের বিরবিরার দীনেশ সিং (Dinesh Sing) ও নারমা (narma) পঞ্চায়েতের মদনমোহন (madan Mohan chawk) চকের চৈতন্য হাঁসদার (Chaitanya Hansda)বাড়ি যান প্রতিনিধিরা। তথ্য সংগ্রহ করেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে। উপস্থিত ছিলেন নারায়নগড়ের বিডিও রেনুকা খাতুন (renuka khatun), খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার (Dipak hansda)। চৈতন্য হাঁসদার অভিযোগ, গত ২৬ মে শাসক দলের লোকজন তাঁকে মারধর করে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। তাই তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।
অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর খড়্গপুর গ্রামীনের (Kharagpur Local) অন্তর্গত জকপুর (Jakpur) সংলগ্ন রাধানগর এলাকার ৩০-৩৫ জন যুবক বাড়ি ফেরেন। ভোট পরবর্তী সময় থেকে তৃণমূল এই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জন্যই ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৩০ টি পরিবার। হাইকোর্টের নির্দেশে তারা বাড়ি ফিরেছেন।
খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন,” কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমরা গিয়েছিলাম। গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলেন।”দলে ছিলেন জনজাতি কমিশনের সদস্য অনন্ত নায়েক, কমিশনের অধিকর্তা ললিতলতা, সহ অধিকর্তা (ভুবনেশ্বর রিজিয়ন) অশোক বর্ধন প্রমুখ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Central team
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore