Bird nest
আরও পড়ুন ঃ–ফের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের রদবদল
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ এক সময় গ্রাম থেকে শহর প্রতিটি জায়গায় শোনা যেত পাখিদের কলকাকলি আর কিচির মিচির শব্দ। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম এলাকায় কিছুটা শোনা গেলেও শহর এলাকায় তা স্বপ্নের মত। আর দেশীয় প্রজাতির পাখি(Bird) চোখে দেখাতো কল্পনাতীত। তবে বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৃক্ষ সংকটের কারনে প্রকৃতি থেকে হঠাৎ করেই হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ঠিক সেই সময়ে হারিয়ে যাওয়া পাখিদেরকে ফিরিয়ে আনতে আজ , ৫ ই জুন বিশ্ব পরিবেশ(World environment) দিবস উপলক্ষে পাখির (Bird) অভয়াশ্রম তৈরি করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার পটাশপুর (Pataspur) থানার পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব।
জানা গিয়েছে, আমফানের(Amphan)স্মৃতি উসকে দিঘা (Digha) সমুদ্র(Sea) উপকূলে তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘যশ’ (Yass)। আর সেই ‘যশ’-এর তান্ডবে উপকূলবর্তী এলাকায় গাছ ভেঙ্গে পড়ায় পাখির (Bird) বাসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কারনে পাখি ডিম পাড়তে পারে না। যাও পারে সেই ডিম এবং বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বংশ বিস্তার কমে যাওয়ায় দেশীয় পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।তাই এই ক্লাবের উদ্যোগে পঁচেটের বাজার(Panchet Bazar), সমিতি, ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী এলাকা চিহ্নিত করে বিভিন্ন গাছে বেতের ঝুড়ি রেখে এসেছে এই ক্লাবের সদস্যরা।তাতে অন্তত কিছুটা হলেও পাখিদের থাকার সমস্যা দূর হবে । তবে ক্লাবের সদস্যদের ভরসা পাখিরা (Bird) আবার ঘুরে দাঁড়াবেই।তারা নিজেদের বাঁসা নিজেরাই তৈরী করে নেবে একদিন। আপাতত সামান্য একটু ক্ষতিপূরণের জন্য এই বন্দোবস্ত বলে জানিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তা সৈকত মাইতি। এদিন তারা ৫০টি কৃত্রিম পাখির বাসা বানিয়ে এলাকার বিভিন্ন গাছে বাঁধে।সমাজকে পাখি সংরক্ষণের বার্তা দেন তারা। আগামীদিনে এই কর্মসূচির উপর জোর দেবেন বলে জানিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের এই পদক্ষেপ অবশ্য এটা প্রথম নয়,এটি দ্বিতীয়।একাধিক বাসা তৈরী করে ছোট বড়ো গাছের ওপর রেখে দিচ্ছেন তারা।উল্লেখ্য এদিন ২টি হরিতকি, ২টি বকুল,৪টি ছাতিম,৩টি লেবু ও ২টি পেয়ারা গাছ লাগানো হয়েছে। তাদের এই উদ্যোগ’কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
পরিবেশবিদদের(Environmentalist)কথায় , সারা বিশ্বে জনবসতি বৃদ্ধি ও গ্রাম-নগর উন্নয়নের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।ফলে শেষ হচ্ছে প্রকৃতির রসদ। সেইসঙ্গে বিপদে পড়েছে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ। গাছের সঙ্গে পাখিদেরও সমান ক্ষতি হচ্ছে।এনিয়ে নানা সময় অভিযোগে তুলেছেন পরিবেশবিদরা(Environm entalist)। কোনো প্রকার পরিবর্তন হয়নি। এই গাছ কাটা আজও থামেনি। ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য। যদিও সেখানে পাখিদের ক্ষতি হত ধীরে ধীরে। কিন্তু, আচমকাই গত বছর আমফান(Amphan) ও এবছর ‘যশ'(Yass) নামক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আসায় পাখিদের বড়ো ক্ষতি হয়েছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Bird nest
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore