পত্রিকা প্রতিনিধিঃ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও শাসক বা বিরোধী, কোনও শিবিরই এখন প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে এরই মধ্যে মেদিনীপুরে মনোনয়নপত্র জমার কাজ শুরু হল। পাশাপাশি খড়্গপুরে তৃণমূল বিধায়কের দেওয়াল লিখন ঘিরে দেখা দিল বিতর্ক। মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের ‘প্রার্থী’ হিসাবে বিধায়ক দীনেন রায়ের নামে দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ‘প্রার্থী’ দীনেন রায়ের হয়ে দলের প্রচার।
খড়্গপুর গ্রামীণের বর্তমান বিধায়ক দীনেন রায়ের নামে দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে ওই বিধানসভা এলাকার ভেটিয়া অঞ্চলের শ্যামসুন্দরপুর বুথে। সেই লিখন ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। দলের তরফে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা না হলেও কী ভাবে দেওয়াল লিখন হয়ে গেল, তা নিয়েও দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও দীনেনের দাবি, ‘‘এই দেওয়াল লিখনের সঙ্গে আমি কোনও ভাবে জড়িত নই। জড়িত নন দলের কোনও কর্মীও।’’ দেওয়াল লিখন ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলেও দাবি তাঁর।
অপরদিকে, খড়গপুর সদর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার এর নামে দেওয়াল লিখন হল খড়গপুর পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায়। আর এই দেওয়াল লেখনের কান্ডারী খড়গপুর পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ও কো -অডিনেটর কল্যাণী ঘোষ। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ প্রদীপ সরকার। এবিষয়ে প্রদীপ সরকার বলেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ পর্যন্ত না তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন ততক্ষণ কোনো দেওয়াল লিখন হবে না। এই দেওয়াল লিখণ অন্যায় হয়েছে। তবে খুব শ্রীঘ্রই দেওয়াল লিখন মুছে ফেরার কথা বলেন তিনি। আপরদিকে বিদায়ী কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ বলেন, খড়গপুর সদর বিধানসভা এলাকায় প্রদীপ সরকার ছাড়া দলের প্রার্থী হিসেবে ভালো মুখ আর কারোও দেখছি না। তাই তার নামে দেওয়াল লিখন করা হয়েছে।