শুভম সিং: গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ১ব্লকের দীঘা মোহনা সংলগ্ন সমুদ্রে চড়ায় ধাক্কা মেরে সমুদ্রে ডুবে যায় মাছ ভর্তি একটি ট্রলার।তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মৎসজীবী মহলে।কারন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একেকটি ট্রলার এভাবে ডুবে গেলে প্রচুর লোকসানের মুখে পড়তে হয় ট্রলার মালিকদের। যে কারনে মৎসজীবিদের জীবন জীবিকাই বিপন্ন হতে বসেছে। Digha boat capsizes, Digha boat capsizes, Digha boat capsizes
উল্লেখ্য,দীঘা মোহনার পৃথ্বীরাজ পড়্যার নামের এক ব্যাক্তির “মা মহামায়া ” নামের একটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারের চার দিন পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফিরে আসার সময় দীঘা মোহনার কাছে থাকা গ্রোয়িং বাধেঁর কাছে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পাশে থাকা সিগন্যাল টাওয়ার ভেঙে উল্টে যায়।এরপর ওই ট্রলারে থাকা ৯ মৎস্যজীবীদের মধ্যে ৮ জন সাঁতার কেটে পাড়ে উঠে আসেন।কিন্তু ওই ট্রলারের মাঝি খেজুরি থানার বজবজিয়া গ্রামের বাসিন্দা গৌরহরি ঋষি (৫২ )নিখোঁজ হয়ে যান।এরপর ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রাতের বেলা সমুদ্রে মেনে তল্লাশি চালিয় দীঘা মোহনা থানার পুলিশ।তবে বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রের তল্লাশি চালিয়ে ওই মাঝির কোনো খোঁজ পাননি তারা। এরপর বুধবার সকালে শঙ্করপুর মৎস্য বন্দর সংলগ্ন একটি খালের ধারে ওই মাঝির মৃতদেহ উদ্ধার করে মান্দারমনি কোষ্টাল থানার পুলিশ। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন- মা আসছেন হাতে মাত্র কয়েক দিন, ব্যস্ততা কুমোর পাড়ায়
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ক্ষোভের মুখে জানান,দীর্ঘদিন ধরে দীঘার এই মোহনার খালের মুখের ড্রেজিং না হওয়াতেই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন মৎস্যজীবীরা।তাদের দাবি,ড্রেজিং না হওয়ায় ধাক্কা মেরে ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো।এমনকী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।ফলে মৎসজীবিকা ক্রমশ সংকটের মুখে।
আরো পড়ুন- শতবর্ষ পূরোনো বিদ্যালয়কে হেরিটেজ ঘোষনার দাবি প্রাক্তনীদের
দিঘা মৎসজীবী তথা মৎসব্যবসায়ীদের নেতা শ্যামসুন্দর দাস জানান,“২০১২সালে আংশিক ড্রেজিংয়ের পর থেকে আর ড্রেজিং হয়নি মোহনায় যার ফলে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে।তবে দীর্ঘ দিন সমুদ্র বক্ষে মাছ ধরার পর শঙ্করপুর বন্দরে ফিরছিল মা মহামায়া নামের ওই ট্রলারটি।দিঘা মোহনা থেকে অদুরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। অর্ধ কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয় এই ধরনের দুর্ঘটনায় তার ওপর একটি প্রানের ক্ষতি আরও বেশি।”সূত্র মারফৎ জানা গেছে এই ধরনের ট্রলার গুলির মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা।পাশাপাশি এর সঙ্গে ভর্তি মাছের মূল্য।তবে ১৫ দিনের সমুদ্র যাত্রার খরচ, মৎসজীবীদের মজুরি ইত্যাদির পুরোটাই লোকসান হয় লঞ্চের মালিকদের।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi