পত্রিকা প্রতিনিধি: মেদিনীপুর শহরের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অত্যাধুনিক “মাতৃমা” ভবনে আজ ( সোমবার ) এক অমানবিকতার চিত্র ফুটে উঠল! করোনা আক্রান্ত প্রসূতি হাসপাতালের ‘মাতৃমা’ ভবনের সামনে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেন দীর্ঘক্ষণ। একদিকে প্রসব বেদনা, অপরদিকে তাঁকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা থেকে তৈরি হওয়া মানসিক যন্ত্রণা! এই দুই নিয়ে, মাতৃমা ভবনের একতলার এক কোণে ভয়ে কি করে বসে থাকলেন দীর্ঘক্ষণ। অবশেষে, প্রায় ঘন্টা দু’য়েক পরে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হল, করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের জন্য তৈরি হওয়া ‘মাতৃমা’র বিশেষ ওয়ার্ডে বা নির্ধারিত শয্যায়। midnapur, midnapur,
আরও পড়ুন- বেলদায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির
আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে একই পরিবারের ৩ জন সহ করোনায় মোট আক্রান্ত ১৮, জেলায় ১০৯ জন
চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাইয়ের আদবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছায়া মল্লিক দে (২০) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে, আজ (সোমবার) সকালে প্রথমে ভর্তি হয় ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এরপর, নিয়ম অনুযায়ী করোনা’র র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় এবং রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপরেই করোনা আক্রান্ত এই অন্তঃসত্ত্বাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেইমতো, সোমবার বিকেলে রীতিমতো পিপিই কিট পরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওই গর্ভবতী মহিলাকে ক্ষীরপাই থেকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে, অ্যাম্বুল্যান্স চালক মহিলাকে হাসপাতালের গেটে ফেলে রেখেই চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। পিপিই পরিহিতা ওই প্রসূতিকে প্রবেশ করতে দেখে, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য রোগীর পরিজনদের মধ্যেও। অপরদিকে, প্রায় আড়াই ঘণ্টা মাতৃমা ভবনের সামনে বসে ছটকাতে থাকে গর্ভবতী করোনা আক্রান্ত এই মহিলা। এমনকি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি কোনও স্বাস্থ্যকর্মীও। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রথমে অজুহাতে দেওয়া হয়, বেড নেই। অবশেষে, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে প্রায় তিন ঘণ্টা পর কোরোনা আক্রান্ত ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভর্তি নেওয়া হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ‘মাতৃমা’ বিভাগের বিশেষ ওয়ার্ডে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi