পত্রিকা প্রতিনিধি: রেলের হাত ধরেই প্রথম করোনা থাবা বসিয়েছিল খড়্গপুরে। দেখতে দেখতে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রেলশহরে। করোনা আক্রান্তদের একটা বড় অংশ রেলকর্মীরা । গতকালই অ্যাসিস্ট্যান্ট রেলস্টেশন মাস্টারের সহ প্রাক্তন ২ রেলকর্মী মৃত্যু হয়েছে করোণা আক্রান্ত হয়ে। তবে এত কিছুর পরেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে চাকরি করে যাচ্ছেন রেলকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতেও করোনা আক্রান্ত রেলকর্মীর পাশে দাঁড়াচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ রেল কর্মীর পরিবারের। চরম অমানবিকতার ছবি ধরা পড়ল খড়্গপুর শহরের ইন্দার রেল কলোনিতে।নিত্যদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ইতিমধ্যেই বেড পূর্ণ হয়ে গিয়েছে করোনা হাসপাতালগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রী, কন্যা সহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক রেল কর্মী। হাসপাতালে শয্যা না থাকার কারণে তাঁকে হোম আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। একে একে ছ দিন কেটে গেলেও রেলের পক্ষ থেকে কোনও ডাক্তারি পরিষেবা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ওই রেলকর্মীর। কোনও মতে বন্ধু- সমাজকর্মীদের ফোন করে ওষুধ আনিয়ে বাড়িতে চালাচ্ছেন চিকিৎসা । ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ রেল কর্মীর পরিবার।
উপসর্গ হীন করোনা আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন থাকলেও তাঁর পুরো চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে প্রশাসন, দিন কয়েক আগেই এমনই ঘোষণা করেছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। তার পরেও করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে কেন এত অবহেলা প্রশ্ন উঠছে রেলশহরে। করোনা আক্রান্ত রোগীর সাথে রেলের এই ব্যবহার অন্যান্য রেল কর্মীদের মনোবলে ধাক্কা দিতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর শাখার রেল কর্তারা।