পত্রিকা প্রতিনিধি: রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে চরম আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন রেকর্ডহারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। অবস্থা সামাল দিতে নতুন করে রাজ্য সরকার কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে আবার লকডাউন শুরু করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে শাসকদলের চিন্তা বাড়াচ্ছে আবার অন্য খবর। করোনা এবার রাজনৈতিক অলিন্দেও হানা দিয়েছে।তবে স্রেফ সাধারণ মানুষই নন, জনপ্রতিনিধিদেরও বিপদ কম নয়। এ রাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণের শিকার হলেন এক তৃণমূল বিধায়ক। মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে পূর্ব পাঁশকুড়ার প্রাক্তন বিধায়কের শরীরে।
জানা গিয়েছে,বেশকয়েকদিন অল্পবিস্তর জ্বর দেখা গিয়ে ছিল তার শরীরে। তবে করোনা সংক্রমণ নয় তো? সন্দেহ হওয়ায় পাঁশকুড়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিধায়ক সোয়াব বা লালারস পরীক্ষা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়।এরপর বৃহস্পতিবার তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভি রিপোর্ট আসে।তবে প্রাক্তন বিধায়কের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
ফের করোনা সংক্রমণের মধ্যে আশার আলো। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার বড়োমা কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ১২জন কোভিড সংক্রমিত।গতকাল ৭ জন করোনা রোগীকে সুস্থ করে নজির গড়ে এই হাসপাতাল।এবার এই ১২ জন করোনা রোগীর সুস্থতার খবরে ফের হাসি ফুটেছে হাসপাতালের রোগী থেকে চিকিৎসকর স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখে।তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে কোভিড নাইট্টিন সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এঁরা।
এরপর বেশকিছুদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল। বার বার পরীক্ষার পর নেভেটিভ আসে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। তারপরই নিয়ম মেনেই এবার ওঁদের ছাড়ার বন্দোবস্ত করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।করোনা জয় করে আবারও মূল স্রোতের ফেরার সাক্ষী রইল গোটা হাসপাতাল। এদিন হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন জেলার হাসপাতালের এম.ডি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।