পত্রিকা প্রতিনিধি : ২০১১ সাল, ১১ সেপ্টেম্বর । বন্দুকের ২২ টি গুলিতে বুক ঝাঝরা হয়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌতম চৌবের । এরপরেই খড়্গপুরের মাটিতে পা রেখেছিলেন সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারই হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মৃত গৌতম চৌবের স্ত্রী হেমা চৌবে। তখন তিনি ছিলেন খড়গপুর শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি । মুখ্যমন্ত্রী এখানেই থামেননি তাকে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া তৃণমূলের প্রার্থী করেছিলেন সি পি আই প্রার্থী গুরুদাস দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে , জিততে পারেননি হেমা চৌবে । হেমা চৌবের খামখেয়ালীপনার জন্য তৃণমূল নিজের মাটি শক্ত করেন মৃত গৌতম চৌবের সঙ্গী দেবাশীষ চৌধুরী । এরপর ২০০৬ সালে তৃণমূল ছাড়েন হেমা । হেমা জানান আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কালীঘাটে গিয়ে দিদিকে ভুল বুঝিয়ে ২০০৬ সালের বিধানসভার টিকিট নিয়ে এসেছিলেন খড়্গপুরের অন্যতম নেতা দেবাশীষ চৌধুরী । হেমা আরো অভিযোগ করেন খড়্গপুরের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর কে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাকে এক ঘর করতে চাইছিল বিশিষ্ট এই নেতা । তাই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম ।
এরপর তিন বছর পর ২০০৯ সালে মানসের হাত ধরে কংগ্রেসের যোগ দেন হেমা । ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এবং তৃণমূলের গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জোট প্রার্থী হন হেমা চৌবে । এখানে সুশান্ত ঘোষের কাছে খুব কম ব্যবধানে তার হার হয় । চাচাজি কে আদর্শ মেনে রাজ্য কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রীর এবং এআইসিসির সদস্য হন তিনি । আজ আর চাচা নেই, তাই এবার আবার তৃণমূলে ফিরতে চান হেমা । আগামীকাল খড়্গপুরের মালঞ্চা তে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি । বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানান, ‘ হেমা এলে দল শক্তিশালী হবে’ ।
অন্যদিকে বিজেপির জেলার অন্যতম সদস্য গৌতম ভট্টাচার্য জানান, ‘হেমা কে টেনে এবার দেবাশীষকে এক ঘর করতে চাইছে তৃণমূলের একাংশ। কয়েকদিন আগেই দেবাশীষ কে জেলার মুখপাত্র করা হয়েছে, যা মেনে নিতে পারছেন না খড়গপুরের বিধায়কের অনুগামীরা, তাই হেমা কে দলে নিয়ে দেবাশীষকে একঘরে করার চেষ্টা চলছে।