পত্রিকা প্রতিনিধি :পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার আড়র গ্রামের এক ব্যক্তি কলকাতায় পার্ক সার্কাসে কাজ করতো। কলকাতা থেকে ফিরে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ও শাস কষ্ট শুরু হলে কোলাঘাট ব্লক হাসপাতাল নিয়ে যায় সেখানে চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং পরবর্তী সময় তার লালা রস পরীক্ষা করাতে বলা হয়।যথারীতি লালাটেষ্ট করা হয় কোলাঘাট ব্লক হাসপাতালে।পরের দিন রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ।ফোন করা হয় স্বাস্থ্য দফতরে।কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাড়িতেই মৃত্যু ঘটে ওই ব্যক্তির। এর পর আবার জানানো হয় স্বাস্থ্য দপ্তরে,স্থানীয় পঞ্চায়েত,প্রধান,পুলিশ সহ একাধিক উচ্চ প্রদস্থ কর্মকতাদের।কিন্তু সহযোগিতার হাত পায়নি তার পরিবার। পরিবার চিন্তিত বোধ করে কী করবেন ওই মৃত করোনা পজেটিভ ব্যক্তিকে নিয়ে।না পাচ্ছেন কোন পাড়া প্রতিবেশির সহযোগিতা না পাচ্ছেন কোনো সরকারি সহযোগিতা।দীর্ঘ অবসানের পর স্বাস্থ্য দফতর থেকে দুই ব্যক্তি রাস্তার উপর থেকে পিপিই দুটো কিট বাড়ির দিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে যায়।এরপর ওই মৃতের দুই ছেলে পিপীই কিট পরে রাত্রি বারোটা নাগাদ গর্ত করে নিজের নিজের বাবাকে দাহ করেন।তবে পরিবারের লোক আতঙ্কিত কারন তাদের এখানো করোনা টেষ্ট হয়নি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় প্রচুর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।কোলাঘাট থানার এক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক জানান, ‘আমরা সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেও পরিবারের লোকেরা সেই শর্তে রাজী হননি। এই ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
বৃদ্ধের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ,প্রশাসনিক সহযোগিতা না পেয়ে শেষকৃত্য সারলেন দুই ছেলে
- Advertisement -