পত্রিকা প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমণে সোমবারের রিপোর্টে কিছুটা স্বস্তিদায়ক খবর মিলেছে। এদিন জেলায় মোট ১৮জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরমধ্যে ময়নার ২জন, কোলাঘাটের ৬জন এবং হলদিয়ার ৪জন রয়েছেন।( ৪জনেই মহিলা )রবিবার জেলায় ৫২জনের করোনা ধরা পড়ার খবরে রীতিমতো আতঙ্ক উদ্বেগ তৈরি হয় প্রশাসনের। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৫জন এবং হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩৬৯জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৮জন।
হলদিয়ায় এদিন ৪জন মহিলা আক্রান্তের মধ্যে ৯বছরের একটি বালিকা রয়েছে এবং বয়স্কা একজন মহিলা রয়েছে। হলদিয়া ব্লকের দেউলপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারিবেড়িয়া বাজার এলাকা ক্রমশ করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে। এক সপ্তাহে ৮জন করোনা আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে ৬জনই স্থানীয় বাজারের দোকানদার। করোনা বাড়তে থাকায় হলদিয়া ব্লকের একের পর এক বাজার এলাকায় করোনা ধরা পড়ায় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বাজারহাট। সোমবার থেকে চৈতন্যপুর বাজার তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দ্বারিবেড়িয়া বাজার ১৪দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। তবে ব্রজলালচক বাজার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় ৪জন দোকানদারের করোনা ধরা পড়ার পরও জেলা প্রশাসন কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা নিয়ে ধন্দে পড়েছে। এই বাজার এলাকায় দিনরাত ভিড় থাকায় এবং করোনা বিধি কেউ মানতে চায় না বলেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তবে এই এলাকায় করোনা নিয়ে স্থানীয় পুলিস ও প্রশাসনেী শিথিলতার কারণে বাসিন্দাদের একাংশ ও দোকানদাররা কিছুই মানতে চায় না বলে অভিযোগ। ভবানীপুর থানার পুলিস সোমবার সকালে মাইকিং করে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পর ছবিটা কয়েক ঘণ্টার জন্য অবশ্য পাল্টায়। হলদিয়া ব্লকের বিডিও তুলিকা দত্ত জানান, পুলিসের সাহায্য নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে অভিযান হবে।