পত্রিকা প্রতিনিধি : উদ্বেগ বাড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ । প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে বাসে তুলে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া ব্যবস্থা করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ । এর পাশাপাশি ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা ট্রেন ও বাসযোগে রেলশহরে সরাসরি এসে পৌঁছানোয় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে স্বাস্থ্য দফতরের। হু হু করে রেলশহরে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ বেড়েই চলেছে রেলশহরে। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে খড়্গপুরে জেলার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি শ্রী বীরেন্দ্র । বৈঠকে তিনি প্রশংসা করেন জেলার পুলিশকর্তাদের।করোনা কালে যেভাবে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে পুলিশরা কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয় । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি পশ্চিম মেদিনীপুর রেঞ্জ সুলেমান নেশা কুমার । জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার সহ পুলিশ কর্তারা । খড়্গপুর পুরসভার মিটিং হলে বৈঠক হয় পরে তিনি ই এফ আর ক্যাম্প এবং জিআরপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন । রাজ্য পুলিশের ডিজি জানান কন্টেইনমেন্ট জোন গুলিতে বেশি করে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিটি নিয়ম মেনে চলতে হবে । রোড সেফটি উপরেও বিশেষ করে নজরদারি চালাতে বললেন । পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানান জেলাতে মোট ৩১ টি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। এই জায়গা গুলিতে পুলিশের কড়া নজরদারি থাকবে। এছাড়াও বাকি জায়গাগুলিতে তুলনামূলক ভাবে ছাড় দেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা বাঞ্ছনীয়। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন মাইকিং প্রচার করবে বলেও জানানো হয় ।
অপরদিকে সরকারি নির্দেশ অনুসারে আজ সন্ধ্যা ৫ টা থেকেই কনটেইনমেন্ট জোন গুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা ছিল । কিন্তু ডিজির প্রোগ্রাম থাকার কারণে পুলিশ কয়েকটি কনটেইনমেন্ট জোনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি । স্থানীয়দের অভিযোগ এদিকে গোটা খড়গপুর শহরে ডিজি ঘুরে বেড়াচ্ছেন , কিন্তু শহরের মেন রাস্তা গুলিতে মাস্ক ছাড়াই অবাধে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা ।