পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার অন্তর্গত সাহড়দা গ্রামের এক ব্যক্তি মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে কাজ করতেন তার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছানোর পরই পুলিশের কাছে খবর আসে অন্য একটি বাসে করে মুম্বাই থেকে ঘাটালের উদ্দেশ্যে আসা আরও এক শ্রমিক এর মৃত্যু হয়েছে বাসের মধ্যেই।ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা কমল সেনাপতি (৪৫)মুম্বাইয়ে সোনার কারিগর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করতেন ।সরকারের অনুমতি পাওয়ায় জন স্বর্ণশিল্পী ও অন্য শ্রমিকেরা গত রবিবার একটি বাস ভাড়া করে রওনা দেন ঘাটালের উদ্দেশ্যে । সঙ্গীরা জানিয়েছেন ,বাসেই প্রচন্ড ডিহাইড্রেশন শুরু হয় তার ও সাথে চলতে থাকে বমি ও পায়খানা ।বাড়ি ফেরার সময় ভিন রাজ্যের নার্সিংহোমে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আতঙ্কে কোন নার্সিংহোমেই তাঁর ভর্তি হয়নি । চিকিৎসকদের ধারণা কোন নার্সিংহোম যদি স্যালাইন চালু করে দিয়ে বাসেই ফেরত পাঠিয়ে দিতো তাহলেও শিল্পীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকত প্রবল ।অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলেই মৃত্যু হয় কমলের ।বুধবার রাতেই বাংলা উড়িষ্যার দাঁতন সীমান্তের সনাকোনিয়া এসে দাঁড়ায় বাসটি ।সেখানেই পুলিশ শ্রমিকদের পরামর্শ দেয় বাসটিকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার ঘাটালে প্রশাসনের হাতেই মৃতদেহ তুলে দিয়ে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইনে চলে যান ৩০ জন শ্রমিক ।কোয়ারেন্টাইন নিয়ম মেনে আপাতত ১৪ দিন সেখানেই থাকবেন এই শ্রমিকেরা ।এদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে কোভিড টেস্টের জন্য ।জানা যায় ওই বাসে ঘাটাল মহকুমা ছাড়াও পাঁশকুড়া ডেবরা এলাকার কয়েকজন যাত্রী ছিলেন ।বাসের চালক ও ওই যাত্রীদের সাথে এখন কোয়ারেন্টাইনে
বাড়ি ফেরার পথে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ঘাটালের পরিযায়ী শ্রমিকের
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার অন্তর্গত সাহড়দা গ্রামের এক ব্যক্তি মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে কাজ করতেন তার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছানোর পরই পুলিশের কাছে খবর আসে অন্য একটি বাসে করে মুম্বাই থেকে ঘাটালের উদ্দেশ্যে আসা আরও এক শ্রমিক এর মৃত্যু হয়েছে বাসের মধ্যেই।ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা কমল সেনাপতি (৪৫)মুম্বাইয়ে সোনার কারিগর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করতেন ।সরকারের অনুমতি পাওয়ায় জন স্বর্ণশিল্পী ও অন্য শ্রমিকেরা গত রবিবার একটি বাস ভাড়া করে রওনা দেন ঘাটালের উদ্দেশ্যে । সঙ্গীরা জানিয়েছেন ,বাসেই প্রচন্ড ডিহাইড্রেশন শুরু হয় তার ও সাথে চলতে থাকে বমি ও পায়খানা ।বাড়ি ফেরার সময় ভিন রাজ্যের নার্সিংহোমে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আতঙ্কে কোন নার্সিংহোমেই তাঁর ভর্তি হয়নি । চিকিৎসকদের ধারণা কোন নার্সিংহোম যদি স্যালাইন চালু করে দিয়ে বাসেই ফেরত পাঠিয়ে দিতো তাহলেও শিল্পীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকত প্রবল ।অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলেই মৃত্যু হয় কমলের ।বুধবার রাতেই বাংলা উড়িষ্যার দাঁতন সীমান্তের সনাকোনিয়া এসে দাঁড়ায় বাসটি ।সেখানেই পুলিশ শ্রমিকদের পরামর্শ দেয় বাসটিকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার ঘাটালে প্রশাসনের হাতেই মৃতদেহ তুলে দিয়ে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইনে চলে যান ৩০ জন শ্রমিক ।কোয়ারেন্টাইন নিয়ম মেনে আপাতত ১৪ দিন সেখানেই থাকবেন এই শ্রমিকেরা ।এদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে কোভিড টেস্টের জন্য ।জানা যায় ওই বাসে ঘাটাল মহকুমা ছাড়াও পাঁশকুড়া ডেবরা এলাকার কয়েকজন যাত্রী ছিলেন ।বাসের চালক ও ওই যাত্রীদের সাথে এখন কোয়ারেন্টাইনে