Home » Hunting : শিকারে ৯০ শতাংশ জমায়েত আটকানো গিয়েছে! মেদিনীপুরে জানালেন ডিএফও

Hunting : শিকারে ৯০ শতাংশ জমায়েত আটকানো গিয়েছে! মেদিনীপুরে জানালেন ডিএফও

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

90 percent of the gathering has been prevented from hunting! DFO informed in Midnapore

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জঙ্গলমহল জুড়ে আদিবাসী মানুষদের পুরানো রীতি হিসেবে বন্যপ্রাণী শিকারের রেওয়াজ আজও বর্তমান। সেই শিকার বন্ধে তৎপর বন দফতর ও পুলিশ। চলতি মরসুমে 90 শতাংশ জমায়েত আটকানো গিয়েছে বলে জানালেন মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও সন্দীপ বেরওয়াল। জেলার চন্দ্রকোনা, পিড়াকাটা, আড়াবাড়ি, গোদাপিয়াশাল, ভাদুতলা, চাঁদড়া, লালগড়, মেদিনীপুর রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শিকার উৎসবে জমায়েতে হয়েছিলেন আদিবাসীরা।

নিজস্ব চিত্র

যা বিগত বছরগুলির থেকে অনেক কম। বন্যপ্রাণ হত্যাও কমেছে। এর পেছনে বনকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা, আদিবাসী মোড়লদের সঙ্গে আলোচনা, পুলিশের প্রত্যক্ষ সাহায্য ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন বনাধিকারীরা। ডিএফও সন্দীপ বেরওয়াল জানান, “লাগাতার প্রচার এবং শিকারের দিনগুলিতে বিভিন্ন স্থানে নাকা পয়েন্ট করে বাইরের হাজার হাজার শিকারিদের আটকানো গিয়েছে। পাশাপাশি আদিবাসী সমাজের মানুষজনদের সঙ্গে আলোচনাও অনেকটা সাফল্য এনেছে।” তবে নাকা এড়িয়েও অনেকে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে শিকারে।

Hunting

Advertisement

মেরে ফেলে বন্য শূকর, খরগোশ, বনবিড়াল সহ বিভিন্ন পাখি। পুলিশ ও বন দফতরের বাধায় সুকৌশলে শিকার করতে জমায়েত স্থানও পরিবর্তন করে শিকারিরা। এমনই ঘটনা গড়বেতা তিন ব্লকের আঁধারনয়ন এলাকার জঙ্গলে। বন দফতর থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় সকাল থেকে শিকারিদের আটকাতে বন দফতর ও পুলিশ নজরদারি চালায়। কড়া নজর ছিল জমায়েত স্থানে। শিকারিরাও বুঝতে পেরে জমায়েত স্থান পরিবর্তন করে ফেলে। ঢুকে পড়ে জঙ্গলে। চন্দ্রকোনা রেঞ্জের আধিকারিক তমাল মুখার্জি জানিয়েছেন, “শিকারিরা স্থান বদল করে জঙ্গলে প্রবেশ করেছিল।

বনকর্মী ও পুলিশ গিয়ে নজরদারি চালায়। তাতে বন্যপ্রাণ হত্যা আটকানো গিয়েছে।” এবারে শিকারির সংখ্যা কম কেন? প্রশ্ন করতে শিকারিদের একাংশ জানান, বন দফতর ও পুলিশের লাগাতার প্রচার এবং বাধা পেয়ে বাইরের শিকারিরা আসতে চাইছেন না। গাড়ির মালিকরাও গাড়ি ভাড়ায় দিতে চাইছেন না আটকের ভয়ে। স্থানীয়দের কেউ কেউ জঙ্গলে ঢুকছেন শিকারে। তারাও পুলিশ ও বনকর্মীদের টহলে বন্যপ্রাণ শিকার থেকে বিরত থাকছেন। অরণ্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ কমায় খুশি পশুপ্রেমীরাও। তাদের দাবি, এই ধারাবাহিকতা চললে আগামীদিনে বন্যপ্রাণ শিকার না করে শুধুমাত্র পালিত হবে উৎসব।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi

Hunting

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.