পত্রিকা প্রতিনিধি: জাল নথি দিয়ে একটানা প্রায় ৯ বছর ছোট ছোট শিশুদের পড়িয়ে গেলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক।জাল ডাক্তারের ঘটনা এর আগে রাজ্যে নজরে এসেছে। কিন্তু জাল শিক্ষক থাকলেও ধরা পড়ল এবার। গোপনে শিক্ষকতা করে আসছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না।ধরা পড়ে ওই জাল শিক্ষকের স্থান হল শ্রীঘরে। ধৃত শিক্ষকের নাম নিখিল মুর্মু (৪৬) । ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার টুলিবড় গ্রাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,গত ২০১২ সালে টুলিবড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যারাটিচার হিসাবে চাকরিতে ঢোকেন নিখিল।এরপর চাকরির ইন্টারভিউতে সে সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেন তিনি। বুদ্ধি খাটিয়ে বেশ কিছু জাল নথিপত্র জমা দিয়ে প্যারাটিচারের চাকরিটা জুটিয়ে নেন। জাল নথিপত্রের জোরে শিক্ষক বনে যাওয়া নিখিল ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর হয়ে যান।প্রায় ৯ বছর ধরে টুলিবড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিশুদের প্রাথমিক পাঠ দিয়ে আসেন এই জাল শিক্ষক।
তাঁর এই জাল শিক্ষকতার নিয়ে অভিযোগ হয়। এরপর শিক্ষা দফতর থেকে তদন্ত চলে। তদন্তে উঠে আসে ২০১২সালে যে সব নথিপত্র দিয়ে নিখিল চাকরি পেয়েছিলেন সে সব ছিল ভুয়ো।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলে। এরপর ভুয়ো শিক্ষককে জামবনি থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে। শনিবার ধৃতকে ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তের জন্য পুলিশের আবেদনে ঝাড়গ্রাম আদালত ধৃতকে ৩দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।