Home » ফের শহরের আবাস ও জজকোর্ট সংলগ্ন অরবিন্দনগরে করোনায় আক্রান্ত ২, শালবনী কোভিড হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ

ফের শহরের আবাস ও জজকোর্ট সংলগ্ন অরবিন্দনগরে করোনায় আক্রান্ত ২, শালবনী কোভিড হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি: গত ( ১ আগষ্ট) রবিবারের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর শহরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫। প্রথম আক্রান্তকারী চন্দ্রকোনার পঞ্চায়েত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ অফিসার। গত ১ লা আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী,করোনা আক্রান্ত চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫২ বছরের এক্সিকিউটিভ অফিসার।৩০ তারিখ মেদিনীপুর আয়ুশ হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় তার রিপোর্ট আসে ১ লা আগস্ট পজিটিভ।ওই অফিসারের বাড়ি মেদিনীপুর সদরের আবাসে।শেষ চন্দ্রকোনায় কর্মস্থলে এসেছিলেন ২২ শে জুলাই।২২ তারিখের পর আর পঞ্চায়েত অফিসে আসেননি তিনি।শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করান।খোদ পঞ্চায়েত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ অফিসার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন দপ্তরের কর্মীরা।
দ্বিতীয় আক্রান্তকারী হলেন শহরের জজকোর্ট সংলগ্ন অরবিন্দনগরের(কামারপাড়ার) বাসি ন্দা। বছর ৩৯ এর ওই ব্যক্তি পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ । সম্প্রতি ওই ব্যক্তি জামশেদপুর থেকে ফিরেছিলেন বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। তবে অরবিন্দনগরের ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল কয়েকটি বাঁশ দিয়ে ঘেরা রয়েছে রাস্তাটি। রবিবার দুপর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়নি স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনের তরফ থেকে । দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই এলাকার মানুষেরা । আবার কিছু কিছু শিশুদের ওই বাশেঁর উপর দিয়ে ছোটাছুটি করে খেলা করতেও দেখা যায়।

তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম করোনা আক্রান্তকারীরা (৪৬ ,২০ ও ২৫ বছর) হলেন শহরের বল্লভপুরের বাসিন্দা। তবে তারা প্রত্যেকেই কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । পু্ণরায় তাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র লেভেল ফোর করোনা হাসপাতাল শালবনীর দুই ‘করোনা যোদ্ধা’ এবার করোনা আক্রান্ত হলেন। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা হাসপাতালের একজন নার্স (২৫) এবং একজন‌ মহিলা সাফাই কর্মী (২৫)’র করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দু’জনই সম্পূর্ণভাবে উপসর্গহীন। তাই, এ নিয়ে বিশেষ আতঙ্কের কিছু নেই বলেই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে এর আগে, এই করোনা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক, দুই নার্স এবং একজন সাফাই কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথম চারজন জুন মাস নাগাদ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ইতিমধ্যে সুস্থও হয়ে গেছেন। তবে, সম্প্রতি এক মহিলা সাফাই কর্মী (২৭ জুলাই) করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তিনি এখনো চিকিৎসাধীন, এই হাসপাতালেই। আজ (১ আগস্ট) যে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন, উপসর্গহীন হলেও, লেভেল ফোর শালবনীতেই তাঁদের চিকিৎসা হবে বলে জানা যায়।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.