বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ছোট্ট এক মাটির ঘরে জন্ম। বাবা সামান্য দিনমজুর, সংসারের অভাব নিত্যসঙ্গী। তবুও স্বপ্ন দেখা থামায়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম সাঁতরাপুরের বৃষ্টি সিং। বয়স মাত্র ১১ বছর, কিন্তু এর মধ্যেই পরপর তিন বছর প্রাথমিক রাজ্য ক্রীড়ায় পুরস্কার জিতে নজির গড়েছে সে। দারিদ্র্যের কষাঘাতে বড় হওয়া বৃষ্টি দিনের পর দিন লড়াই করেছে নিজের স্বপ্নের সঙ্গে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

2/5. খেলাধুলার প্রতি অদম্য টান থাকলেও, ভালোভাবে অনুশীলন করার সুযোগ তার ছিল না। তাই নিজের বাড়িতেই বাবা বাবলু সিং তৈরি করে দিয়েছিলেন লং জাম্প পিট, যাতে মেয়ে বাড়ির উঠোনেই প্র্যাকটিস করতে পারে। কখনও স্কুলের মাঠে, কখনও বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় কঠোর অনুশীলন করে বৃষ্টি। আর সেই পরিশ্রমেরই ফল, টানা তিন বছর ধরে রাজ্য ক্রীড়ায় তার সাফল্যের জয়যাত্রা।
3/5. প্রথমে চক্র, তারপর অঞ্চল, মহকুমা, জেলা— প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে সে পৌঁছে যায় রাজ্য ক্রীড়ায়। ২০২৩, ২০২৪, আর এবার ২০২৫— পরপর তিন বছর সেরা প্রতিযোগীদের টেক্কা দিয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে বৃষ্টি। এবছর রাজ্য ক্রীড়ায় ২০০ মিটার দৌড় ও লং জাম্পে অংশ নেয় সে। তবে ২০০ মিটার দৌড় শুরুর সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে— দৌড়ের ট্র্যাকে পেরেক ফুটে যায় তার পায়ে! অসহ্য যন্ত্রণা সত্ত্বেও দৌড় সম্পূর্ণ করতে পারেনি, কিন্তু হাল ছাড়েনি বৃষ্টি। ব্যথা পা নিয়েই লং জাম্পে অংশ নিয়ে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে সে।
আরও পড়ুন : হারিয়ে যাওয়া ২৫ টি মোবাইল ফিরিয়ে দিল সবং থানা
আরও পড়ুন : মহিলা থানায় পড়ুয়াদের অত্যাচারের অভিযোগে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভ
4/5. বাবার সামান্য আয়ে ঠিকমতো খাবার জোটে না বৃষ্টির, পুষ্টির কথা তো দূরের কথা! কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনও আর্থিক, কখনও মানসিকভাবে সাহায্য করেছেন তাঁরা। শুধু পড়াশোনা নয়, তার খেলাধুলার প্রতি টানকে আরও দৃঢ় করতে সবরকম সাহায্য করেছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতে, বৃষ্টির এই অধ্যাবসায় ও মানসিক শক্তি তাকে আরও বড় মঞ্চে পৌঁছে দেবে।


5/5. যে ঘরে নুন-ভাত জোগাড় করাই কঠিন, সেই ঘরেই বেড়ে উঠছে সোনার মেয়ে বৃষ্টি। বাবা-মায়ের স্বপ্ন, মেয়ে যেন আরও বড় প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নিজের প্রতিভা দেখাতে পারে। গ্রামের প্রত্যেকেই আজ গর্বিত তার জন্য। তার সাফল্যের কাহিনি এখন সাঁতরাপুরের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা জেলার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : বন্যপ্রাণ শিকার আটকাতে বন দপ্তরের জোড়া ফাঁদ, গাড়ি মালিকদের বাড়িতে পৌঁছাবে আইনি নোটিশ!
আরও পড়ুন : দু’মাস পর বাড়ি ফিরলেন চিকিৎসা বিভ্রাটে অসুস্থ প্রসূতি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
State Sports Award
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper