Home » করোনা বিস্ফোরণ ! পূর্ব -পশ্চিম মেদিনীপুরে আক্রান্ত ২৬০ জন, ঝাড়গ্রামে ৬

করোনা বিস্ফোরণ ! পূর্ব -পশ্চিম মেদিনীপুরে আক্রান্ত ২৬০ জন, ঝাড়গ্রামে ৬

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Causes of infection

আরও পড়ুন ঃকরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু খড়্গপুর আই আই টি কর্মীর

পত্রিকা প্রতিনিধিঃ করোনা ঝড়ে বাংলার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। রোজই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৬ জন। যার মধ্যে খড়গপুর আই আই টি কর্মীর করোনার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। একদিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন , পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০৫ জন অপরদিকে ঝাড়গ্রাম জেলায় ৬ বলে রাজ‍্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন সূত্রে জানা যাচ্ছে।

কী কারণে সংক্রমণ ফিরে আসতে পারে ?

রোগ প্রতিরোধ শক্তি একটা বড় কারণ হলেও আরও দু’টি সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ক্ষেত্রে, এমনই মত মেডিসিনের চিকিৎসকরা বলছেন-

১. কোনও ক্ষেত্রে ভাইরাস তার চরিত্র পরিবর্তন করেছে কি না তা দেখতে হবে। অর্থাৎ স্ট্রেন নতুন কি না এ বিষয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। অ্যান্টিবডি থাকা সত্ত্বেও সে ক্ষেত্রে অন্য অ্যান্টিজেনের প্রবেশ ঘটে এমনটা হতে পারে।

২. অ্যান্টিবডি ৩ মাস মতো নিরাপত্তা দিতে পারে এমনটা মনে করা হচ্ছে। তাই এটাও একটা বড় ফ্যাক্টর। অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে গেলে ফের ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

৩. এক জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে ৬০ দিন পর্যন্ত তাঁর শরীরের ভিতরে সংক্রমণের মৃত কোষ বা ডেড ভাইরাল পার্টিকল থেকে যেতে পারে। আরটিপিসিআরের মতো যন্ত্র এত বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন যে, সেই মৃত কোষও ধরা পড়ে যায় কিছু ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই পারে। কিন্তু সেই থেকে অন্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টাই রোগীর স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর বলে জানান তারা। ‘ক্লিনিক্যাল কন্ডিশন’ অর্থাৎ রোগীর কো-মর্বিডিটি আছে কি না, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কেমন, সার্বিক স্বাস্থ্যের দিকটি সব থেকে জরুরি, তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে, জানান এই চিকিৎসক।

দ্বিতীয় বার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলে কী করতে হবে?

শারীরিক কোনওরকম সমস্যা না হলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে। মানতে হবে সমস্ত নিয়ম। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে প্রতি মুহূর্তে।

দ্বিতীয় বার রিপোর্ট পজিটিভ মানেই কি করোনা সংক্রমণ?

এই প্রসঙ্গে সংক্রামক রোগের চিকিৎসক বলেন, “ভাইরাসের আরএনএ আছে কি না, তা দেখা হয় আরটিপিসিআরের মাধ্যমে। অনেক সময় দেখা যায়, আরএনএ ভাইরাস চলে যাওয়ার পরেও থাকতে পারে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ৩০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।”

সে ক্ষেত্রে কী ধরে নিতে হবে?

কারও করোনা হয়েছে, জ্বর নেই, উপসর্গও নেই। তিনি সেরে গেলেন। পরে অন্য কারণে এমনি ঠান্ডা লেগে জ্বর বা কাশি হল, তখন ভিতরে থেকে যাওয়া ভাইরাসের পুরনো আরএনএ-র অস্তিত্ব মিলতে পারে পিসিআর টেস্টে। তার মানেই যে সংক্রমণ আছে, তা নয়। খুব কম উপসর্গ রয়েছে যাঁদের, তাঁদের বেশির ভাগের থেকেই ৭-৮ দিন পর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। কারও ক্ষেত্রে করোনা সেরে গিয়ে ডেঙ্গি সংক্রমণ হল, সে ক্ষেত্রেও জ্বর আসতে পারে। তখন করোনা টেস্ট পজিটিভ আসা মানেও সংক্রমণ ঘটেছে এমন নয়। সেটা সংক্রমিত করতে পারে কি না, তা কালচার করে দেখে বলা সম্ভব বলেই জানান তারা।

মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে সংক্রমিতের সংখ্যা এপ্রিল মাসে বাড়তে শুরু করেছিল। কন্টেনমেন্ট স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। সংক্রামক রোগের চিকিৎসক সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন সেই কাজে। দ্বিতীয় বার সংক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্সে যে স্টাডি হয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় দফায় কোভিড পজিটিভ হয়েছে। এটা হতে পারে ভাইরাস শরীরেই ছিল, নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল, রোগীও সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন, কিছু দিন পরে তা সক্রিয় হয়েছে। আরেকটা কারণ হতে পারে, ফের সংক্রমণ। সংক্রমণ ফের হয়েছে কি না, তা জানতে ভাইরাস কালচার করে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করা প্রয়োজন প্রতিটি নমুনার। এই মুহূর্তে শুধু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে হয় এটি। তবে রোজ ৫ থেকে ৭ লক্ষ নমুনায় তা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। আর এই অসুখটার বয়স মাত্র কয়েক মাস, তাই এটা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে এখনই বলা সম্ভব নয়।”

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Causes of infection

Causes of infection

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.