Sisir Adhikari
আরও পড়ুন ঃ–ডেবরায় বঁটি দিয়ে স্বামীর হাত কাটল স্ত্রী
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বড় মপের পুরস্কার পেতে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারী। উল্লেখ্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা সাংসদ শিশির অধিকারী’কে রাজ্যপাল করার বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের পূর্বাঞ্চলে দুটি রাজ্যের মধ্যে যেকোনো একটি রাজ্য শিশির অধিকারী কে রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত শিশির অধিকারীর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে শিশির অধিকারীর বয়স ৮০ ছাড়িয়ে গেছে। তার মেজ ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে শিশির অধিকারীর দূরত্ব শুরু হয়েছিল। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে এগরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদান করে ফেলেছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি সাংসদ পদ ছাড়েন নি।এই পরিস্থিতিতে শিশির অধিকারী কে সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য তৃণমূল আবেদন জানাতে চলেছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতিতে শিশির অধিকারী কে সম্মানজনক পুনর্বাসন দিতে উদ্যত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে এর আগে থেকেই শিশির অধিকারী কে রাজ্যপাল করার ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছিল বিজেপির মধ্যে। বিজেপি জানাচ্ছে, “শিশির অধিকারীর বয়স হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উনাকে কোনরকম রাজনৈতিক বিড়ম্বনায় পড়তে হোক সেটা আমরা কোনভাবেই চাইনা। এমন প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ একজন রাজনীতিক যে রাজ্যের রাজ্যপাল হবেন সেই রাজ্য উন্নতি প্রাপ্ত হবে। আমরা সেই একই পথে এগোতে চলেছি আর কিছুদিনের মধ্যেই।” অন্যদিকে কাঁথি আসনটি আবার শিশির অধিকারী কে ছাড়তে হবে যদি তিনি কোন একটি রাজ্যের রাজ্যপাল হন। সেই পরিস্থিতিতে এই কাঁথি আসনটিকে নিজেদের হাতে নিয়ে আসাও বিজেপির কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
সেই সময় প্রশ্ন উঠছে এবারে যদি উপনির্বাচন হয় তাহলেকাঁথি আসন থেকে শিশির অধিকারীর জায়গায় কে দাঁড়াবেন বিজেপির থেকে। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির নেতারা বলছেন, “দল যাকে কাঁথি আসনে মনোনয়নপত্র দেবে তিনি সেখানে দাঁড়াবেন।” তবে অনেকের ধারণা এই আসনে এবারে বিজেপির পতাকা ধরে নির্বাচনে লড়তে পারেন শিশির অধিকারীর কনিষ্ঠপুত্র সৌমেন্দু অধিকারী। সৌমেন্দু একসময় কাঁথি পুরসভার প্রধান প্রশাসক ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল তাকে ওই পদ থেকে বহিষ্কার করে। ফলে এখন সৌমেন্দু অধিকারীর পুনর্বাসনের প্রয়োজন রয়েছে। এই পুনর্বাসন এর ঘাটতি মিটিয়ে দিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
তবে শিশির অধিকারী যদি কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল হন তাহলে তাঁকে সাংসদ পদ ত্যাগ করতে হবে। সেটা হলে কাঁথি আসনে হবে উপনির্বাচন। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে বিজেপিকে জিততে হবে। তাই শিশির অধিকারীকে কোনও এক রাজ্যের রাজ্যপাল করে বিজেপি এই বার্তা দিতে চাইছে যে তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েছে দল। সেই প্রেক্ষিতে উপনির্বাচন হলে কাঁথি আসনটি পেতে বিজেপির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ওই আসনে কে নির্বাচন করবেন সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Sisir Adhikari
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore