Home » আমফান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির প্রতিবাদে পথ অবরোধ কাঁথিতে

আমফান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির প্রতিবাদে পথ অবরোধ কাঁথিতে

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

শুভম সিং: পটাশপুরের পর এবার উত্তপ্ত কাঁথি। ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে রবিবার দুপুর থেকে কাঁথি শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে মেচেদা বাইপাস পযর্ন্ত সড়ক অবরোধ করে ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আঠিলাগড়ির বাসিন্দারা।এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম বারিক’কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা।এরপর ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে হাজির কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।তারপর অবশ্য জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম বারিকের আশ্বাসে ও পুলিশের অনুরোধে পথ অবরোধ তুলে নেয় বাসিন্দারা।

বিক্ষোকারীদের দাবি,আমফান ঝড়ে আমাদের যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমাদের থাকার মতো বাসস্থান নেই।পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পান বরজের ক্ষতি হয়েছে।কিন্তু এখনও পযর্ন্ত আমরা সরকার থেকে কোনো রকমে সাহায্য পাচ্ছি না।,,
তাছাড়া আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পরে কাঁথি শহরের তৃণমূল যুব নেতা ইমরান আলি খান এর কাছে ত্রিপল ও ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া যাঁদের ক্ষতি হয়নি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ত্রিপল দিয়েছেন তিনি।আমফান বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণের তালিকাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু নামটুকু নিয়েই শেষ, তারপর আর তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণের দেওয়া হয়নি। অথচ এই আমফানের কাড়নে যাঁদের আসলে কোনও রকমের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।এমনকি জানা গিয়েছে যাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেরই পাকা বাড়িও আছে। তাছাড়া যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। যাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু ক্ষতিপুরনের টাকা পেয়েছেন তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। না হলে আমরা পরবর্তী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।

এদিন জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম বারিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে আমাদের জেলায় বহু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তবে সেই সমস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ যত এসেছিল তার থেকে প্রাপকের সংখ্যা বেশি।তাই সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।তাছাড়া যারা ক্ষতিপূরণ পাননি তারা আজ অবরোধ করেছিলেন।আমি তাঁদের আশ্বাস দিয়েছি।তাঁদের পুনরায় আবার আবেদন করার কথা বলেছি।তাছাড়া পুনরায় আবেদন করলে নিশ্চয় ক্ষতিপূরণ পাবেন।

তবে এবিষয়ে বিক্ষোভকারীদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের যুব নেতা ইমরান আলি খান।এবিষয়ে তিনি বলেন,আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার তিনি কেউ নন।তাছাড়া এই সমস্ত ক্ষতিপূরণ প্রশাসন দেবে।

এবিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন,এই চোরেদের দল ভালো কোনো কিছুই আশা করা যায়না।পশ্চিমবঙ্গবাসী এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা করছে,কবে আপতকে বিদায় দিবে।এদের প্রতি আমরা তীব্র ঘৃনা ব্যার্থ করছি।সাধারণ মানুষের এদেরকে অভিশাপ দিচ্ছে।তবে এই অভিশাপ আর ঘৃণা নিয়ে কোনো সংগঠন বেঁচে থাকতে পারে না, তাছাড়া এই সংগঠনের ধ্বংস অনিবার্য।তাছাড়া মানুষকে ভোলানোর জন্য এই সমস্ত আশ্বাস, তবে মানুষ অনুভব করেছে যেয়এদলের কাছ থেকেভালো কিছু পাওয়া যাবে না।যা পাওয়া যাবে তা শুধু ধ্বংসাত্মক।

সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাপতি মামুদ হোসেন বলেন,এই আমফান দূর্ণীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র।তৃণমূলের শেষের শুরু হচ্ছে।তাছাড়া ক্ষতিপূরণের টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে।তাছাড়া এইসব শোকজ করা শুধুমাত্র লোক দেখানি।সরকারি টাকা যদি কোনো ব্যক্তি বেনিয়ম করে যদি কোনো নেতা নেয় তাহলেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার।এসব শুধুমাত্র শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।তাছাড়া জনগণের টাকা নিয়ে নয়ছয় হচ্ছে এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা হওয়া দরকার।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.