Home » Paschim Medinipur : বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী

Paschim Medinipur : বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : রাস্তা থেকে ঘরবাড়ি জলের তলায়। উঁচু বাড়ির ছাদে দিন কাটাচ্ছে ঘাটালবাসী। কবে দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাবেন সেই আশায় বুক বাঁধছেন ঘাটাল, চন্দ্রকোণা সহ কেশপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকজন বন্যা দুর্গত মানুষজন তাদের কষ্টের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। পরে সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের সার্কিট হাউসে পৌঁছান। জানা গিয়েছে, এখানে একটি বৈঠক করতে পারেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :

For WhatsApp Group 1: Click Here

For WhatsApp Group 2: Click Here

Paschim Medinipur
নিজস্ব চিত্র

এদিন সকাল থেকেই ঘাটালে যান জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী। বানভাসি মানুষজন তাঁর কাছে নানান অভিযোগ তুলে ধরেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছে। মোতায়েন রয়েছে মেডিকেল টিম, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহ সাধারণ এবং পুলিশ প্রশাসন। ঘাটালের মূল রাস্তার উপর বইছে নদীর জল। সেই রাস্তা দিয়েই এখন মানুষের যাতায়াতের ভরসা নৌকা। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলেও জল এখনই কমছে না ঘাটালে। ডিভিসি থেকেও ছাড়া হয়েছে জল। ফলে আতঙ্ক থাকছে ঘাটালবাসীর মধ্যে। শিলাবতী, ঝুমি ও কেঠিয়া নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা সহ বিভিন্ন এলাকা।

Paschim Medinipur

আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল

আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ

জলে ডুবেছে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা। বিঘার পর বিঘা কৃষি জমির ওপরে জলের প্রবল স্রোত। তার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে নৌকা ও ডিঙি করে চলছে যাতায়াত। সমস্যায় ঘাটাল মহকুমার বানভাসি এলাকার মানুষজন। বহু মানুষকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০০৯ সালের পর এই প্রথম এত বেশি জল ছাড়া হয়েছে। ফারাক্কা ও ডিভিসি সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। যার ফলে পলি জমে ভরাট হয়ে গিয়েছে। না হলে আরো ২ লক্ষ কিউসেক জল রাখতে পারতো ডিভিসি। যখন ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হয়, ঝাড়খন্ডকে বাঁচায়।

আর পশ্চিমবঙ্গে জল ছেড়ে দেয়। এটা ম্যান মেড বন্যা করা হচ্ছে।” তবে এদিন মাস্টার প্ল্যানেরও প্রসঙ্গ তুলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান আজ কুড়ি বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। তারা করলো না বলে রাজ্য সরকার থেকে সবকিছু তৈরি করা হচ্ছে। দু’বছর সময় লাগবে এটা তৈরি করতে। খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা।” অন্যদিকে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা, মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া, কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু, বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুর ও বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল এবং বস্ত্র দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার

আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Paschim Medinipur

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.