Home » Municipal clash : শাসকদলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মেদিনীপুর পৌরসভায় ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা, বাগবিতণ্ডা

Municipal clash : শাসকদলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মেদিনীপুর পৌরসভায় ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা, বাগবিতণ্ডা

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: দলীয় কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে পৌরসভায় ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুরে। বেশ কয়েকজন শাসক দলের কাউন্সিলর পৌরসভায় ঢুকে কনজারভেন্সী ডিপার্টমেন্টে চেয়ার, টেবিলের কাঁচ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পৌরসভার পৌরপ্রধান ও কাউন্সিলর। মঙ্গলবার মেদিনীপুর পৌরসভার এমন ঘটনায় হতবাক পৌরসভার কর্মচারীরাসহ সাধারণ মানুষজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যদিও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলররা।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :

For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : স্বাক্ষর করতে জানে না বাবা-মা, বিড়ি বেঁধে চলে সংসার, কলা বিভাগে চমকে দেওয়া রেজাল্ট করেও উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধের আশঙ্কা সৌমেনের

অভিযোগ, শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের দুর্ভোগ। সেখানে যে জল যাচ্ছে তা বিষাক্ত। এর আগে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বহু মানুষ জন্ডিসে আক্রান্ত হন পানীয় জলের কারণে। সেই আশঙ্কায় ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ওই জলপান না করে স্থানীয় কাউন্সিলর মৌ রায়কে অভিযোগ জানান। দশ দিন পেরিয়ে গেলেও পরিশ্রুত পানীয় জল না পৌঁছানোই পৌরসভায় আসেন কাউন্সিলর মৌ রায় সহ স্থানীয় মানুষজন। পৌঁছায় কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব, গোলক মাঝি, ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহিরা। পৌরসভার কনজারভেন্সি বিভাগে ঢুকে কর্মচারীদের বের করে দিয়ে চেয়ার এবং টেবিলের উপরে থাকা কাঁচ ভাঙার অভিযোগ ওঠে। সেনেটারী ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর শৈবাল গিরি বলেন, “স্টাফরা আমাকে ফোন করে বলেন, আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর এসে তাদের বের করে দিয়ে চেয়ার, টেবিল ভেঙে ফেলে দিয়েছে। কাগজপত্র তছনছ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন : দিনমজুরের মেয়ে! উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের মিনতি

খবর পেয়ে পৌরসভায় পৌঁছান পৌরপ্রধান সৌমেন খান। সেই সময় পৌরসভাতে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মৌ রায়। দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। মৌ রায়ের উদ্দেশ্যে পৌরপ্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আপনারা লোকজন নিয়ে এসে ভাঙচুর করেছেন। আপনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। আরও ভাঙুন। পৌরসভার এটা একটা কলঙ্ক। আপনারা নেতৃত্ব দিয়েছেন।” যদিও ভাঙার কথা অস্বীকার করে মৌ রায় বলেন, “আমি এবং আমাদের এলাকার লোকজন কেউ ভাঙচুর করেনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হোক।” জলের বিষয় নিয়েও স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন, কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পৌরপ্রধান। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে প্রবেশ করতে ওই রুমে। সেই ছবি দেখিয়ে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে ভাঙচুরের। পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “আজকে অন্য একটি কর্মসূচিতে পৌরসভার বাইরে ছিলাম। আমি শুনতে পাই, কনজারভেন্সি দপ্তরে ভাঙচুর হয়েছে আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে। ভাঙচুর কেন করলো তা আমার জানা নেই। কারা এসেছিল তা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানাবো।” মৌ রায় বলেন, “ভাঙচুর আমরা কেউ করিনি। দূষিত জল ওয়ার্ডে আসছিল দশ দিন ধরে। পৌর প্রধান এবং জল দপ্তরে জানানো হয়েছিল। তারপরও কোন সুরাহা হয়নি। আজকে পৌরসভায় জানতে এসেছিলাম। কে ভেঙেছে তার দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না। আমি যদি ভেঙে থাকি তার প্রমাণ দিক। আমাকে গ্রেফতার করুক। জল সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলন চলবে।” কনজারভেন্সি দপ্তরে এক কর্মী বলেন, “কয়েকজন কাউন্সিলর এসে আমাদের বাইরে বেরিয়ে যেতে বললেন। ওখানে ওনারা বসে কিছু আলোচনা করবেন। বিশ্বনাথ পাণ্ডব, মৌ রায় সহ কয়েকজন ভেতরে ঢুকেছিলেন। আমরা বেরিয়ে যায়। পরে রুমে গিয়ে দেখি চেয়ার পড়ে আছে, টেবিলের কাঁচ ভাঙা অবস্থায়।” ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে এর আগেও গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে শাসকদলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে পৌরসভায় ভাঙচুরের ঘটনা নজিরবিহীন।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Municipal clash

Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.