পত্রিকা প্রতিনিধিঃ আগামীকাল মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে শনিবার নন্দীগ্রামে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোরেদের সর্দার বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম যে তাঁর নখদর্পণে সে কথা তিনি স্মরন করিয়ে বলেন, “আমিতো এখানে সাইকেল- মোটরসাইকেলের পাটি। আমার সঙ্গে ছুটতে পারবে না। আমি একদম ৮ তারিখ থেকে পড়লাম এখানে।”
পাশাপাশি এই সভা থেকে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, “আপনারা বলুন আম্ফানে যখন ক্ষতি হয় এই মুখ্যমন্ত্রী একবারও এসেছে? উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা হেলিকপ্টারে করে ঘুরেছে। আমফানে মোদীজি প্রথমে ১০০০কোটি টাকা দিয়েছিল পরে আবার ২৭৫০কোটিটাকা দিয়েছিল। আম্ফানের লিস্ট দেখলে পেশা, পিসি, জেঠা, জেঠি, দাদা, বৌদি, শালা, শালি,কাকা, কাকি, নাতিপুতিদের নাম। গরু নেই তাও গরুর নাম করে টাকা নিয়েছে। এই চোর গুলোকে একদম ভোট দেবেন না। আর চোরেদের যিনি সর্দার, তোলাবাজ ভাইপোর পিসিমণি তিনি এখানে দাঁড়িয়েছেন। গোটা রাজ্য জুড়ে কাটমানি তোলাবাজি সিন্ডিকেট করেছেন। একে হারাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি তৃণমূল- কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালিক তার একটাই এজেন্ডা কুচ কুচকা সাথ, ভাইপোকা বিকাশ।
নন্দীগ্রামে এগারো সালের ভোটের আগে এসেছিল, ১৬সালে ভোটের আগে ডিসেম্বর মাসে এসেছিল, এবারেও ভোটের আগে জানুয়ারি মাসে এসেছে।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়াকে শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপির যিনি প্রার্থী হবেন তাকে আমরা এখান থেকে জেতাবো। এখানে অনেক পরিযায়ী ও বহিরাগত লোকেরা আসছে। শীতকালে যেমন মোরসুমী ফুল ফুটে, তেমনি এখন অনেক লোককে দেখতে পাবেন। অনেক ছবি তুলছে বলছে ঘর দেব। আরে ঘরতো মোদিজীর ঘর। কাবার এসএইচজি মহিলাদের বলছে ভোট না দিলে টাকা ঢুকবে না। মায়েরা শুনে রাখুন ২রা মে পর এই পঞ্চায়েত গুলো সব থাকবে না। এদের এত জনসমর্থন এরা নিজের বুথে ফুটা। শুধু চারটে করে সিআরপিএফ যদি দাঁড়িয়ে যায় ভোটের মেশিনে এদের অবস্থা যে কি হবে আমি জানিনা। আমি তোমাদের বলি শুধু বাইরের বহিরাগত লোকেদের কথা শুনবে না,। তিনি সতর্কীকরণ করে বলেন যারা আজকের গলায় মালা কপালের তিলক কেঁটে এসেছেন। আমাদের ভোট না দিলে এগুলো খুলে নেবে তৃণমূল।