ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : “আমি বিশ্বাস করি এ কাজ কুড়মি ভায়েরা করতে পারে না। কুড়মিদের নাম করে এই অত্যাচার করছে বিজেপি।” শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুড়মিদের ক্লিনচিট দিলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে আটজন কুড়মি নেতা-কর্মীকে। রবিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তাদের তোলা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন কুড়মি সমাজের সভাপতি রাজেশ মাহাত।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
যাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জঙ্গলমহলের অলিগলিতে এখন চর্চায় রাজেশ। তাদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কুড়মিদের। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে অভিষেকের কনভয় গড়শালবনীর দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় রাজ্য সড়কের দু’ধারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে ‘চোর চোর’ বলে স্লোগানও দেওয়া হয়।
এর পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতার কনভয়ের শেষে থাকা মন্ত্রী বিরবাহার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইটও। তাতে মন্ত্রীর গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। অভিষেকের কনভয়েও হামলার অভিযোগ। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। কনভয়ে হামলার অভিযোগে রাজেশ-সহ একাধিকজনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ওই ঘটনার দায় নেয়নি কুড়মি নেতারা।
Kurmi Protest
কুড়মি নেতা সুদীপ মাহাত জানিয়েছিলেন, “অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয় ঘটনা। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” ওই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঘটনার দায় ঠেলেন বিজেপির দিকে। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাতো-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, করলেন দুই আদিবাসী কন্যার নামকরণ
এ নিয়ে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্য সুন্দর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” রবিবার ধৃতদের তোলা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম আদালতে। তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। অন্য দিকে পুলিশ হেফাজতে থাকা আরও চার জনকেও রবিবার হাজির করানো হয় আদালতে। তাঁদেরও ২৯ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজেশ খড়্গপুরের বনপুরা স্কুলের শিক্ষক। ঘটনার পরই তাঁকে বদলি করা হয়েছে কোচবিহারের একটি স্কুলে। ওই ঘটনা প্রতিহিংসা বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষকদের একাংশ।
বদলি ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি, শালবনী সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। খেমাশুলিতে জাতীয় সড়কে মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। কুড়মিদের ‘ঘাঘর ঘেরা’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাত কুড়মি নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সবাইকে নিঃশর্তে মুক্তি এবং রাজেশ মাহাতকে কোচবিহারে বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে উঠবে রাজ্য জুড়ে।”
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন : নব জোয়ার যাত্রাতে জঙ্গলমহলে অভিষেকের পাশাপাশি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রস্তুতি তুঙ্গে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Kurmi Protest
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper