Home » Sal Wood Smuggling : ‘পুষ্পা’ সিনেমার কায়দায় শাল কাঠ পাচার মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে কংসাবতী নদীপথে, আটক লরি

Sal Wood Smuggling : ‘পুষ্পা’ সিনেমার কায়দায় শাল কাঠ পাচার মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে কংসাবতী নদীপথে, আটক লরি

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : লরি থেকে বোটে লোড করে কংসাবতী নদীপথে পাচার হচ্ছিল শাল কাঠ। খবর পেয়ে হানা দেয় বনদপ্তর। বনদপ্তরের লোকজনকে দেখে বোটটি খড়্গপুর গ্রামীণের দিকে নদীপথে পালিয়ে গেলেও আটক করে লরি ও বহু শাল কাঠ। ওই লরিতে তিনশোর বেশি শাল কাঠ ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্ধকারে এই কাঠ স্থানান্তরের চেষ্টাতে গড়বড় বুঝতে পারেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here

Sal Wood Smuggling
নিজস্ব চিত্র

খবর যায় বনদপ্তরে। বনদপ্তর এসে ঘিরে ফেলতেই ফেরার বোট। কাঠ বিক্রেতা লোকজন বনদপ্তরের কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। খবর যায় গুড়গুড়িপাল থানায়। ছুটে আসে পুলিশও। বনকর্তারা কাগজপত্রে অসংগতি দেখতে পেয়ে কাঠ ও লরি আটক করে নিয়ে যায়। পুরো “পুষ্পা” সিনেমার কায়দাতে নদীপথে কাঠ নিয়ে যাওয়ার এই চিত্রটি ধরা পড়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ডিএভি ঘাটে। বনদপ্তর জানিয়েছে, “আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Sal Wood Smuggling

নিজস্ব চিত্র

মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ডিএভি কংসাবতী নদীর ঘাটে কাঠ ভর্তি একটি লরি এসে দাঁড়িয়েছিল। লরিটি রাঙ্গামাটির কোন একটি স্থান থেকে কাঠগুলি নিয়ে নদীর অপরপ্রান্তে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। রাঙ্গামাটি এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাঠ সেগুলি। সন্ধ্যের অন্ধকারে লরি থেকে শাল কাঠের বিভিন্ন অংশ নামিয়ে নদীপথে একটি বোটের মাধ্যমে অপরপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ছিলেন গোপগড় বিট অফিসার শীতল ভূঁইয়া, বনকর্মী মলয় নন্দী ও অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন : নাড়ায় আগুণ ! দূষণের আশঙ্কা পশ্চিম মেদিনীপুরে

আরও পড়ুন : ঘাটালে হোস্টেলের ছাদ থেকে পলিটেকনিক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

বনদপ্তরকে আসতে দেখেই নদীপথে কাঠ বোঝাই বোট ফেরার। বাকি কাঠগুলি আটকে রেখে পরীক্ষা করতে গেলে ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গীরা বনদপ্তরের সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেয়। বনদপ্তরের কাছে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। বনদপ্তরের কর্তারা ওই কাঠ বিক্রির সময় নিয়ে প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর পায়নি। কয়েক মাস আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়ে দিয়েছিলেন রাতের অন্ধকারে কোথাও কাঠ নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না।

আরও পড়ুন : সারের কালোবাজারি বন্ধে চন্দ্রকোণায় পথ অবরোধ

তাই অন্ধকারে এবং নদীপথে কেন কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি লরির সঙ্গে থাকা লোকজন। সেই সঙ্গে লরির নিজস্ব কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি বনদপ্তরের। দেখা যায় ওই কাঠগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য যে লরিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কাগজপত্র অনুযায়ী ওই লরিটি নয়। এই বিষয়ে ওই ব্যবসায়ী থেকে বনদপ্তর সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন মন্তব্য করতে চায়নি। তবে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বনদপ্তর।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Sal Wood Smuggling

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.