Home » Allegations against the Pradhan : অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে, কাঠগড়ায় বনদপ্তর, শোরগোল কেশপুরে

Allegations against the Pradhan : অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে, কাঠগড়ায় বনদপ্তর, শোরগোল কেশপুরে

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : গড়বেতার কড়সার ছায়া এবার কেশপুরে! অভিযোগের তীর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে। রাস্তার পাশে থাকা রায়ত জায়গায় গাছ কাটার অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :

For WhatsApp Group : Click Here

2/7. ওই জায়গার মালিক দাবি করে কয়েকজন বাসিন্দা গাছ কাটতে অনুমতি না দেওয়ার লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বনদপ্তর, বিডিও এবং ভূমি দপ্তরেও। তারপরও গাছ কাটা শুরু হলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সিন্নিবাড় মৌজায় ২৫০ টি আকাশমনি, ট্যাবাগেড়িয়া মৌজায় ১৩০ টি আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাস ৫৬০টি গাছ রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য কুড়ি লক্ষ টাকার বেশি।

3/7. রাস্তার পাশে থাকা ওই গাছগুলি কাটতে টেন্ডার ডেকেছিল সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত। যদিও ওই টেন্ডার নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, অনলাইনে টেন্ডার না করে অফলাইনে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হয়েছিল‌। পঞ্চায়েত প্রধান মিজানুর রহমান মানছেন অফলাইনে টেন্ডারের কথা। তিনি ফোনে জানিয়েছেন, “সমস্তটা বিডিও অফিসের সাথে আলোচনা করেই করা হয়েছে।” বড় প্রশ্ন উঠছে জায়গার মালিকানা নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা, শেখ লিয়াকত আলি, শেখ তুফান আলী, শিবশঙ্কর জানা সহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, “ওই জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানা। প্রধান বেআইনিভাবে রাস্তার পাশে থাকা গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার ডেকেছিলেন। বনদপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তারপরও কিভাবে অনুমতি দিল? অথচ আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনাই করলো না।”

আরও পড়ুন : হারিয়ে যাওয়া ২৫ টি মোবাইল ফিরিয়ে দিল সবং থানা

আরও পড়ুন : মহিলা থানায় পড়ুয়াদের অত্যাচারের অভিযোগে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভ

4/7. ফোরুরমোড় থেকে কাঞ্চনতলা এবং ট্যাবাগেড়া থেকে গোটগেড়া পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে প্রায় এক হাজার গাছ কাটার জন্য বনদপ্তরে অনুমতি চেয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধান। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বনদপ্তর সেই গাছ কাটার অনুমতি দিলেও অভিযোগকারীরা বাধা দিলে সেই সময় গাছ কাটতে পারেনি। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে সেই অনুমতি পত্রের বৈধতা বৃদ্ধির আবেদন জানাই বনদপ্তরে।

5/7. বনদপ্তর সেই অনুমতি দেয়। গাছ কাটা শুরু হলে ফের বাধা দেন অভিযোগকারীরা। তাদের অভিযোগ, “যে জায়গার গাছ নিয়ে অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়েছে, তার নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে কিভাবে বনদপ্তর কাটার অনুমতি দিতে পারে? শুধু তাই নয়, ভূমি দপ্তর থেকে কি অনুমতি নিয়েছে জায়গার প্রকৃত মালিক কে?” গাছ কাটা শুরু হলে ফের কেশপুর বিডিও এবং বনদপ্তরের গোদাপিয়াশাল রেঞ্জ অফিসে অভিযোগ জানানো হয় গাছ কাটা বন্ধের আবেদন জানিয়ে।

6/7. তবে প্রধান মানছেন, যে জায়গায় গাছ রয়েছে তাতে কিছুটা খাস এবং কিছুটা ব্যক্তিগত জায়গা রয়েছে। তারপরও কিভাবে তিনি ব্যক্তিগত জায়গায় গাছ কাটার আবেদন করতে পারেন? যদিও সদুত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন।” তবে অনেকেই বলছেন, গড়বেতার কড়সা এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনায় জেলে যেতে হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনদপ্তরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল তাঁর।

আরও পড়ুন : হাওড়া লোকালে শিক্ষককে বেধড়ক মার দুষ্কৃতীদের! মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আরও পড়ুন : নকল সিও নিয়ে বালি পাচারে গুড়গুড়িপালে গ্রেপ্তার চার

7/7. অভিযোগকারী শেখ লিয়াকত বলেন, “আমাদের রায়ত জায়গায় গাছ রয়েছে। অথচ আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করে প্রধান গোপনে অফলাইন টেন্ডার করে গাছগুলি কাটছে। বনদপ্তরেও অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কিভাবে অনুমতি দিল ভেবে পাচ্ছিনা। বনদপ্তরের সঙ্গে কোনো গোপন আতাঁত রয়েছে কিনা তদন্ত করা প্রয়োজন উর্ধ্বতন আধিকারিকদের।” গাছ কাটা শুরু হলে বুধবার ফের অভিযোগ জানাই বনদপ্তরে। বৃহস্পতিবার রেঞ্জ আধিকারিক সহ বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে। মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও দীপক এম জানিয়েছেন, “ওই এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন : বন্যপ্রাণ শিকার আটকাতে বন দপ্তরের জোড়া ফাঁদ, গাড়ি মালিকদের বাড়িতে পৌঁছাবে আইনি নোটিশ!

আরও পড়ুন : দু’মাস পর বাড়ি ফিরলেন চিকিৎসা বিভ্রাটে অসুস্থ প্রসূতি

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Illegal tree cutting in keshpur

IllegalTreeCutting #KeshpurControversy #ForestDepartment #EnvironmentalIssues #TreeConservation #IllegalLogging #KeshpurNews #ForestProtection #SustainableForestry #EcoAwareness

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.